আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তারা কৃষি খাতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে

প্রকাশিতঃ 3:37 pm | March 15, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) এর কৃষি ক্যাডার এসোসিয়েশনের নেতারা বলেছেন, বিগত সরকারের সময় কৃষি খাতে লুট পাটের স্বর্গরাজ্যে ছিল। বর্তমানে সেই আওয়ামীপন্থি সরকারি কর্মকর্তারা কৃষি খাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এ জন্য চিহ্নিত আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা ও কৃষি উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এসোসিয়েশেন কর্মকর্তারা।

শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় চিহ্নিত আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তাদের তৎকালীন সময়ে মিছিল মিটিংয়ের ভিডিও চিত্র দেখানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব বিসিএস কর্মকার্তা মো. রেজাউল ইসলাম (মুকুল) ড. সাফায়েদ আহমেদ সিদ্দিক, বশির উল আলম. ড. আরিফ মোহাম্মদ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল অবকাঠামো কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বিশাল জনগোষ্ঠীর এই দেশে খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ কৃষি খাতে নিয়োজিত। অথচ প্রতি বছর ০.৭৩ শতাংশ হারে কৃষিজমি কমে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় সীমিত কৃষিজমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে ফলন বৃদ্ধির জন্য আধুনিক ও টেকসই প্রযুক্তির প্রয়োগ, প্রতিকূল পরিবেশ সহিষ্ণু নতুন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষির আধুনিকায়ন, শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং বহুমুখীকরণের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

কিন্তু এটি অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদ মহাপরিচালকসহ অনেক পদে এখনো বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগীরা বহাল তবিয়তে আছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের আগেরদিন অর্থাৎ ৪ আগস্ট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বর্তমান মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম, বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ খামারবাড়ির অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী সরকারি চাকুরি বিধি লঙ্ঘন করে রাজ্জাক-নাসিম-ওয়াহিদা গংদের নিয়ে “শেখ হাসিনাতেই আস্থা” জানিয়ে খামারবাড়ি চত্বরে রাজনৈতিক মিছিলে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন।

এরপর অক্টোবর মহাপরিচালকের মতো শীর্ষ পদে বসেও ছাইফুল আলম মন্ত্রণালয়ের অনৈতিক সমর্থন ও ব্যক্তিস্বার্থে উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদটিও দখল করে রেখেছেন।

মো. ছাইফুল আলমের মহাপরিচাকের পদের চেয়েও উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং এর পরিচালক এর পদটিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় এবং তার অদক্ষার সুযোগে কৃষি মন্ত্রণালয় নিয়মবহির্ভূতভাবে অধিদফতরের প্রস্তাব ছাড়াই খেয়ালখুশি মতো কর্মকর্তাদের বদলি করে চলেছেন। এসব বদলির মাধ্যমে তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো কৃষিবিদদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে দূর্বল করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন।

কালের আলো/এএএন