‘যোগ্য কী অযোগ্য এই প্রশ্নটাই অবান্তর’

প্রকাশিতঃ 6:59 pm | April 08, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর যোগ্যতা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেছেন, এটি ‘অনস ইট ইজ ডিসাইডেড’, তখন যোগ্য কি অযোগ্য এ প্রশ্নটা অবান্তর, কেননা মনোনয়ন বোর্ডের ভেতরে আলাপচারিতার মাধ্যমে এই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। সুতরাং ‘অনস ইট ইজ ডিক্লিয়ার্ড এজ এ ক্যান্ডিডেট, এজ এ নমিনি অব দা বোর্ড’। সুতরাং সেই প্রশ্নটি এরপর আসবার কোন আর সুযোগ নাই।

সম্প্রতি কালের আলো’র সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন যাকে দেওয়া হয়েছে সে কী যোগ্য ছিল নাকি অযোগ্যের হাতে নৌকার প্রতীক এমন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যে সকল এমপি-মন্ত্রীরা নৌকার বিরোধীতা করেছে তাদেরকে চিঠি দেয়া হবে দলের মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই চিঠির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। তাদের ব্যাখ্যা দেয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিব।

কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে কারা কারা সেই তালিকায় আছে এখন পর্যন্ত ওই ভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে পাওয়া গেলে বুঝা যাবে। অধিকাংশ মন্ত্রী ও এমপির ব্যাপারেই এই অভিযোগটা এসেছে। তারা লোকালে যেহেতু নির্বাচনী ভূমিকার মধ্যে ছিল। তাদের নামটাই বেশি আসছে।

আগামী সম্মেলনে দল ও সরকার আলাদা করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী সম্মেলনে দল ও সরকার আলাদা করা হবে না। এই দুইটি একে অপরের পরিপূরক। সুতরাং একটা রুলিং পার্টি, সেই পার্টির সরকার থেকে বিচ্ছিন্ন করা একটা আজব ব্যাপার। হয়তো দায়িত্ব বণ্টণের ক্ষেত্রে কারো যদি বেশি দায়িত্ব বর্তায়। সে ক্ষেত্রে সেই লোডটা না নিতে পারলে তাহলে হয়তো তাকে একটা দায়িত্বে থেকে অব্যাহতি দেয়া হতে পারে বা দায়মুক্তি দেয়া হতে পারে। তাই বলে দল ও সরকার আলাদা হবে সর্ম্পন্ন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হবে এটা ভাবনার কোনো কারন নেই।

তৃণমূলে সম্মেলন না করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যকটি জেলায়-উপজেলায় কমিটি আছে। কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীণ বলে কোনো কথা নেই। পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত এই কমিটিই কাজ করবে। সুতরাং দীর্ঘ দিন যেখানে সম্মেলন হয় নাই। সেই জায়গাটি চিহ্নিত করে আমরা সম্মেলনের ব্যবস্থা করছি।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক রাখা না রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে, কী করবে না, এটা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দলের সভাপতি কেন এই বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছেন তা আগে বুঝতে হবে। তিনি অবশ্যই ভালো ভাবেই চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। এটি সিদ্ধান্ত করা হলের প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হলেরও পরে ঠিক হয়ে যাবে।

জেলা কাউন্সিলর নির্বাচন প্রসঙ্গে আবদুর রহমান বলেন, আমাদের গঠনতন্ত্রে এমন কোনো নিয়ম নেই যে, ভোটেই করতে হবে। যেখানে সমঝোতা করে, আলাপ আলোচনা করে করতে পারবো, সেখানে কেন সম্মেলন করবো? আগামী সম্মেলন ঘিরে আমি কোনো কিছুই প্রত্যাশা করি না। আমি প্রত্যাশা করি শেখ হাসিনার আনুগত্য। ওনার প্রতি আমার আনুগ্রত্য আছে। তিনি যে দায়িত্ব দেবেন সেই দায়িত্বই পালন করবো।

কালের আলো/এসআই/এমএইচএ