ঢাকাকে একটি ন্যায্য শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই : ডিএনসিসি প্রশাসক
প্রকাশিতঃ 4:26 pm | March 27, 2025

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে উন্নয়নের জন্য বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, কারণ এখানে উন্নয়নের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।
তিনি বলেন, ৩৬টি ওয়ার্ড নিয়ে ডিএনসিসি গঠিত হয়েছে, পরে ১৮টি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে। এসব নতুন ওয়ার্ড মূলত গ্রামাঞ্চল, যেখানে উন্নয়ন ও অবকাঠামো ছিল না। আমি দায়িত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঢাকাকে একটি ন্যায্য শহর হিসেবে গড়ে তুলবো।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) মিরপুর ডিওএইচএস থেকে দিয়াবাড়ি সংযোগ সড়ক ও নতুন ১৮টি ওয়ার্ড প্রকল্পের আওতায় উত্তরা আজমপুর কাঁচাবাজার হতে চামুরখান পর্যন্ত রাস্তার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশাসক বলেন, ন্যায্য শহর গড়তে হলে সেসব জায়গায় বেশি উন্নয়ন ও ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে যেখানে প্রয়োজন বেশি। যেখানে প্রয়োজন কম, সেখানে ইনভেস্টমেন্ট কম হবে। তবে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যে-সব জায়গায় পয়সাওয়ালারা, প্রভাবশালীরা বেশি থাকেন, সেসব জায়গায় বেশি ইনভেস্টমেন্ট হয়েছে। কিন্তু আমি চাই, যেসব জায়গায় প্রয়োজন বেশি, সেসব জায়গায় বেশি উন্নয়ন ও ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে উন্নয়নের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। তাই আমি এখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এয়ারপোর্ট থেকে দক্ষিণখান ঢাকার পূর্ব-পশ্চিমের সংযোগ সড়কগুলোতে কাজ চলমান। আজমপুর কাঁচাবাজার থেকে চামুরখান ব্রিজ পর্যন্ত ৩.৬ কিমি প্রধান সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যা আজ উদ্বোধন করা হয়েছে। ঈদের পরেই এয়ারপোর্ট থেকে কাউলা সড়কও সম্পন্ন হবে।
নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের মানুষের অনেক ভোগান্তি হয়েছে উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন, এ এলাকায় অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এখানে পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না, মানুষ রাস্তার জায়গা ছাড়ার জন্য প্রস্তুত ছিল না। তবে আমরা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি, যাতে তারা রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য জায়গা ছাড়ে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ভবিষ্যতে ৭০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা তৈরি করা হবে, যাতে পুরো অঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, আমরা ইতোমধ্যে প্রধান সড়কগুলোর মেরামত প্রায় শেষ করেছি। সব প্রধান সড়কের গর্ত মেরামত করে রাস্তা সমান করা হয়েছে। আমাদের লোকবল খুবই কম, আমরা প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ২০% লোকবল নিয়ে কাজ করছি। তবে আমাদের টিম নিরলস কাজ করছে। ঈদের পর আমরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ শুরু করবো।
সবার অংশগ্রহণে ন্যায্য শহর গড়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিএনসিসির ফেসবুক পেজে ঢাকার উন্নয়ন বা সেবা নিয়ে সবার মতামত পাওয়া যায়, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এমন একটি শহর গড়তে চাই যার নিজস্ব গল্প থাকবে।
সড়ক উদ্বোধনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, ১৮ ওয়ার্ডের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগে. জেনা. মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ার, ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খয়বর রহমান, মো: জুলকার নায়ন, মো. জিয়াউর রহমান, ১৮ ওয়ার্ড প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: মাসুদুর রহমান খান ও প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর এস সৌমিক ইসলাম প্রমুখ।
কালের আলো/এসএকে