স্বাগত বাংলা নববর্ষ ১৪২৬

প্রকাশিতঃ 12:56 am | April 14, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

দেশব্যাপী চৈত্র সংক্রান্তি পালনের মাধ্যমে বিদায় নিয়েছে ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। আজ রবিবার(১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ১৪২৫ বিদায় ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দ বরণে প্রস্তুত পুরো বাঙালী জাতি।

রবির কিরণে হাসি ছড়িয়ে অপ্রাপ্তি বেদনা ভুলে আজ নব আনন্দে জাগবে গোটা জাতি। বাংলাদেশের মানুষের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের রূপময় ছটায় নতুন বাংলাবর্ষ ১৪২৬ বরণ করবে সব বয়সের মানুষ।

নতুন বছরের সূচনা দিনে নতুন স্বপ্ন-প্রত্যাশায় উৎসব আর উচ্ছ্বাসে ভরে যাবে বাংলার মাঠ-ঘাট-প্রান্তর। নতুন দিনের সূর্যোদয়ের সাথে সাথে পুরনো সব জরা গ্লানিকে মুছে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি টুটে নব চিন্তায় শুরু হবে আগামী দিনের পথচলা।

প্রতি বছরের মতো এবারও রমনার বটমূলে ছায়ানটের গানে গানে আর চারুকলা থেকে বের হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাঙালি বরণ করবে নতুন বছরকে।

শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুরনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে নতুন দিনের প্রত্যয়ে বাঙালি নতুন করে জেগে উঠবে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে। খোলা হবে নুতন হিসাবের হালখাতা।

পান্তা-ইলিশের সাথে মুড়ি মুড়কি, মণ্ডা মিঠাইয়ের সাথে সাথে নাচে-গানে, ঢাক-ঢোলে, শোভাযাত্রায় পুরো জাতি বরণ করবে নতুন বছরকে। গতকাল বছরের শেষ দিনে ছিল চৈত্র সংক্রান্তি। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতি বিদায় জানিয়েছে ১৪২৫ বঙ্গাব্দকে।

বাঙালীর নববর্ষের সঙ্গে সবচেয়ে নিবিড় সম্পর্ক কৃষির। এ সম্পর্কের সূত্রেই বাংলা সাল প্রবর্তন করেন সম্রাট আকবর। তার আমলে প্রবর্তন হয় বাংলা সন, বঙ্গাব্দ। বঙ্গাব্দের মাস হিসেবে বৈশাখের প্রথম স্থান অধিকার করার ইতিহাস অবশ্য বেশি দিনের না হলেও, আদি সাহিত্যেও বৈশাখের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।

দক্ষের ২৭ কন্যার মধ্যে অনন্য সুন্দরী অথচ খরতাপময় মেজাজ সম্পন্ন একজনের নাম বিশাখা। এই বিশাখা নক্ষত্রের নামানুসারেই বাংলা সনের প্রথম মাস বৈশাখের নামকরণ। সৌরমতে বৈদিক যুগে বছর গণনার পদ্ধতি প্রচলিত ছিল। সেখানেও সন্ধান মেলে বৈশাখের।

এর পর থেকেই বাঙালীরা পালন করে আসছে বৈশাখ। নতুন বছরে সবার জীবন সুখে-শান্তিতে কাটুক এই প্রত্যাশা…

কালের আলো/এমএইচএ