জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
প্রকাশিতঃ 4:18 pm | April 24, 2025

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, কালের আলো:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তার পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার কর্তৃক শিক্ষার্থী হেনস্তার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘গিয়াস উদ্দিন চায় কি, গোলামি আর দালালি’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘এক দুই তিন চার, রেজিস্ট্রার তুই গদি ছাড়’, ‘কুয়েট শিক্ষা নে, গদি তুই ছেড়ে দে’ এসব স্লোগান দেন।
এ সময় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রের যুগ্ম সদস্য সচিব কিশোর আনজুম সাম্য বলেন, রেজিস্ট্রার একজন সাম্রাজ্যবাদী কলোনিয়ালিস্ট। আমরা কলোনিয়ালিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই না। মেরুদণ্ডহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই না। আমরা এরপর অপ্রত্যাশিত কিছু হলে, তার জন্য দায়ী থাকবে প্রশাসন।
শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, আওয়ামী দোসর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এখনো সক্রিয়। আমরা মনে করেছিলাম, ৫ আগস্টের পরে তারা আর থাকবে না। ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীরা আবার সক্রিয় হয়েছেন। এই রেজিস্ট্রার হলেন সেই স্বৈরাচারী সরকারের দোসরের একজন। ভালোই ভালো নিজের ডিপার্টমেন্টে ফিরে যান। সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান। ফ্যাসিস্টদের কোনো প্রশাসনিক জায়গায় থাকতে দেব না।
শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে, কারণ সব জায়গায় অযোগ্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একজন অ্যাকাডেমিক ব্যক্তিকে কেন রেজিস্ট্রারের জায়গায় বসানো হয়েছে, সেই উত্তর দিতে হবে। ক্ষমতা যদি আপনার হাতিয়ার হয়, তাহলে ছাত্ররা ইতিহাসের আশ্রয় নেবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি দিতে হবে। অব্যাহতি দেওয়া না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও জবি ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসিব বলেন, এভাবে বলা হয়েছে যে, আমাদের কোনো প্রকার আবাসনের দায়িত্ব আমাদের থাকা খাওয়ার দায়িত্ব নাকি প্রশাসনের না। দীর্ঘদিন ধরে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবাসন সংকটের ভুক্তভোগী। আজ যদি আমাদের এই আবাসন সংকট না থাকতো তাহলে এই কথা গুলো আসতো না। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার বক্তব্য যদি এমন হয় যে আমার অধিনস্ত শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব আমার নয়। এটা কখনোই হতে পারে না।
জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকেল চুরির ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ নিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসিব। এ সময় শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাবির কথা বললে সমাধান না করে উল্টো অভিযোগকারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাকে রুম থেকে বের করে দেন।
কালের আলো/এসএকে