বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান ওভারহলিং ইউনিটকে চীনের স্বীকৃতি

প্রকাশিতঃ 6:36 pm | April 23, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ২১৪ মেইন্টেন্যান্স, রিপেয়ারিং ও ওভারহলিং ইউনিটকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ওভারহল ইউনিট হিসেবে সনদপত্র প্রদান করেছে চীনের জিলিন এয়ারক্রাফট মেইন্টেন্যান্স কোম্পানী লিঃ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) তারিক আহমেদ সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রধান অতিথির ভাষণে ২১৪ এমআরও ইউনিটকে সনদপত্র অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সহযোগিতার জন্য তিনি চীন সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এসময় তিনি চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নপূরণে এই ২১৪ এমআরও ইউনিট ভবিষ্যতে বিমান প্রস্তুত করতে সক্ষম হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে গত ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ সালে স্থাপিত হয় বঙ্গবন্ধু এ্যারোনটিক্যাল সেন্টার (BAC)।

বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে এই বঙ্গবন্ধু এ্যারোনটিক্যাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়। বঙ্গবন্ধু এ্যারোনটিক্যাল সেন্টারের অর্ন্তগত ২১৪ এমআরও ইউনিটও একই সাথে কার্যক্রম শুরু করে।

চীনের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের (OEM) সার্বিক তত্ত্বাবধানে জিলিন এয়ারক্রাফট মেইন্টেন্যান্স কোম্পানী লিমিটেড এর সার্বিক সহযোগিতায় এ ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হয়।

বর্তমানে বিমান বাহিনীর প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিমান ওভারহল করতে সক্ষম। বিমান বাহিনীর নিজস্ব টেকনিশিয়ান কর্তৃক সফলভাবে ওভারহল করে প্রথম বিমানটি হস্তান্তর করা হয় ২০১৮ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর। বর্তমানে আরো ০৩ টি বিমান, বিমান বাহিনীর নিজস্ব টেকনিশিয়ান কর্তৃক ওভারহল কার্যক্রমের আওতায় রয়েছে।

আগে ওভারহলিং কারখানা না থাকায় চীনের তৈরী বিমানগুলোকে ওভারহলিং এর জন্য সুদূর চীনে পাঠাতে হতো। কিন্তু এখন দেশে ওভারহলিং এর মাধ্যমে সময় ক্ষেপন রোধের পাশাপাশি প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হচ্ছে।

এ সময় অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত ২১৪ এমআরওইউ ওভারহলিং ইউনিট হিসেবে সনদপত্র পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন ।

একই সাথে ভবিষ্যতে বিমান বাহিনীর অপারেশনাল কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে বলেও আশাবাদী উচ্চারণ বিমান বাহিনী প্রধানের।

অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত সেনা ও নৌবাহিনী প্রধান, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা, চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এমএইচএ