বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের প্রক্রিয়া চলছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 5:23 pm | February 28, 2018

সিনিয়র প্রতিবেদক, কালের আলো:

বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং দণ্ডিত রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার লক্ষ্যে তা চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরসহ অন্যান্য প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

ওই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধী ও রাজাকারদের কোনও সম্পত্তি স্বাধীন দেশে থাকতে পারে না, রাখারও কোনও অধিকার নেই। বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের নামে-বেনামে থাকা সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রথম ধাপ হিসেবে তাদের সম্পত্তি চিহ্নিত করার পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।’

সরকারি দলের আয়েন উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার একটি টেকসই ও ন্যায্য সমাধান চাই। পাশাপাশি মিয়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগ সরকার বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক উদ্যোগও গ্রহণ করেছে।’

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জটিল ও দীর্ঘ মেয়াদি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমরা মাত্র চার মাসের মধ্যে তিনটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে সক্ষম হয়েছি। এ প্রেক্ষিতে প্রত্যাবাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

সব প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে শিগগিরই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

 

কালের আলো/ওএইচ