সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল সম্প্রসারণ করা হবে : নৌ প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 5:16 pm | June 09, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সদরঘাটের বর্তমান যে স্পেস, তাতে বিশাল জনগোষ্ঠীর জায়গা হয় না। ঈদযাত্রার শেষের দুই দিন সদরঘাটে বাড়তি চাপ পড়েছে। এরই মধ্যে আমরা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এখন ২০টির মতো লঞ্চ পার্কিং করতে পারে। এটা দুই থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, টার্মিনাল বাড়াতে ৬৩৩ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই জুনের শেষে বা আগামী জুলাইতে কাজ শুরু করা হবে। বাস্তবায়নে দুই বছর সময় লাগবে। এ প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে টেন্ডার হয়ে গেছে। সদরঘাট টার্মিনালকে বাবু বাজার ব্রিজ থেকে পোস্তগোলা ব্রিজ পর্যন্ত জেলা অনুযায়ী আলাদা করে টার্মিনাল করতে দুই বছর সময় লাগবে।
রোববার (৯ জুন) সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এবার দেশের মানুষ নির্বিঘ্নে নিরাপদে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছে৷ মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি সদস্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করায় এটা সম্ভব হয়েছে। তবে ঈদের দুই দিন আগে একটু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। বিকেএমইএ ও বিজিএমইএ একসঙ্গে ছুটি ঘোষণা করায় হঠাৎ বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা তাদের আগেই চিঠি দিয়েছিলাম যাতে তারা আলাদাভাবে ভাগ করে ছুটি দেয়। কিন্তু তারা সেটি করেননি।
অবৈধ দলখ উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের এ অভিযান মেঘনা ও শীতলক্ষ্যাতে চলমান রয়েছে। শুধু আবাসিকে রোজার জন্য বন্ধ ছিল। শিগগিরই আবার চালু হবে। আমরা অবৈধ দখল থেকে নদীগুলো রক্ষা করতে চাই। আমাদের সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ করার কথা রয়েছে। বর্তমানে দেশে ছয় হাজার কিলোমিটার নৌপথ রয়েছে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে দুই হাজার কমে যায়৷ এজন্য নতুন করে আরো চার হাজার কিলোমিটার নদীপথ করা হবে।
ওয়াটারবাস নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পানিতে দুর্গন্ধের কারণে ওয়াটারবাসে যাত্রী যেতে চায় না। আর দ্রুতগতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটে বলেও যাত্রী যেতে চায় না। এজন্য নদীগুলো প্রসস্ত করে শিগগিরই ওয়াটারবাস চালু করা হবে।
কালের আলো/এনবি/এমএম