মিডিয়ার মালিকদের ব্যাংক হিসাব নেয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 6:15 pm | June 14, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ঋণ পরিশোধ করার পর খেলাপি ঋণ নিয়ে প্রতিবেদন করার জন্য গণমাধ্যমগুলোর মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, পত্রিকা-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মালিকদের ব্যাংক হিসাব নেয়া হবে। টাকা শোধ দিয়ে তারপর যেন পত্রিকায় লেখেন।
শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব বলেন প্রধানমন্ত্রী।
২০০৯ সালে খেলাপী ঋণের পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা যা সর্বশেষ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। এই ক্ষেত্রে কোনোকিছু করতে পারছেন না কেন?
এমন প্রশ্নে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খবর নেবেন, পত্রিকার মালিকরা কে কোন ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ নিয়েছেন? সব ব্যাংক থেকে এই তথ্য বের করেন, যত মিডিয়া আছে, প্রত্যেকে বলবেন, কোন মালিক কোন ব্যাংকের কত টাকা ঋণ নিয়ে কত টাকা শোধ দেননি। খেলাপী হয়ে নিজেরা হিসাব করলে আমাকে প্রশ্ন করা লাগবে না।’
খেলাপীঋণ শোধ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুদের হার অনেক বশি। চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ হয়। হিসাব যখন দেওয়া হয়, চক্রবৃদ্ধি হারে যে বাড়ল, সেটা ধরে হিসাব দেয়া হয়। ফলে, খেলাপি ঋণ অনেক বড় দেখায়। প্রকৃত ঋণ অত বেশি নয়। চক্রবৃদ্ধিসহ খেলাপি ঋণ ধরা হয়। দুর্বলতা আছে। ধীরে ধীরে অ্যাডজাস্ট হচ্ছে। ব্যবস্থা নিচ্ছি। সুযোগ দেবো, ঋণ শোধ দেয়ার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংক, আর্থিক খাত ও শেয়ারবাজারে সংস্কার করা হবে। সক্রিয় বন্ড মার্কেট চালু করা হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইনেও পরিবর্তন আনা হবে।’
প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পরের এ সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এবারের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব প্রাপ্তি ও বৈদেশিক অনুদান বাবদ আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
এনবিআর বহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কর বাদে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা।
কালের আলো/এআর/এমএম