রাজধানীতে হঠাৎ বেড়েছে খুনের ঘটনা, জড়িয়ে পড়ছে কিশোররাও
প্রকাশিতঃ 2:07 pm | March 09, 2018
কালের আলো রিপোর্ট:
রাজধানীতে হঠাৎ বেড়েছে খুনের ঘটনা। অবৈধ অস্ত্রের মজুদের সাথে এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠিরও তৎপরতা বেড়েছে অনেক। তাই কোন কোন মামলার আসামিরা গ্রেফতার হলেও কমছে না হত্যাকাণ্ড। সেই সাথে কিশোররাও জড়িয়ে পড়ছে খুনের মত অপরাধে। ডিএমপিতে গেলো দুই মাসে হত্যা মামলা হয়েছে প্রায় ৪০টি। পুলিশ বলছে, সবগুলো হত্যাকাণ্ডই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর দারুসসালাম এলাকার উত্তর টোলারবাগে এক নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে খুন কর হয়।
এরআগে ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে মহাখালীর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজের ঠিকাদার নাসির কাজিকে তিন যুবক এসে এলোপাথাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাসিরের। খুনের আগে ঐ এলাকার অন্তত ২৬টি সিসি ক্যামেরা, অকেজো করে রাখা হয়। এ ঘটনায় এখনও কেউ আটক হয়নি।
ঠিক একবছর আগে এই দক্ষিণপাড়া মসজিদের পাশেই দিনদুপুরে গুলি করা হয় ঠিকাদার দিদার হোসেন সজিবকে। সেই মিশনেও ছিল ৩ সন্ত্রাসী।
গত মাসের ১৭ তারিখ মেরুল বাড্ডার মাছের আড়তে দিন-দুপুরে গুলি করে হত্যা করা হয় আবুল বাশার বাদশাকে। তবে এবার হাতনাতে ধরা পড়ে এক খুনি। সবশেষ এ মাসের শুরুতে পুরান ঢাকায় দোল উৎসবে খুন হয়েছে কলেজছাত্র রওনক।
পুলিশের তথ্য বলছে, চলতি মার্চের ৭ তারিখ পর্যন্ত খুন হয়েছেন ৫ জন। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে হত্যা মামলা হয়েছে ৩০টি। আর ২০১৭ সালে খুন আড়াইশোরও বেশি; মামলা হয় ২১৮টি।
অপরাধ বিশ্লেষক হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, পুলিশের আন্তরিকতা থাকলেও তারা অনেক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ঠিকভাবে করতে পারেনা, রাজনৈতিক চাপ বা উপরের চাপ, প্রভাবশালীদের চাপ,
মহানগর পুলিশ স্বীকার করছে যে, এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসী তৎপরতা বেড়েছে। অবৈধ অস্ত্রের মজুদ ও ব্যবহার বাড়ছে। আর আধিপত্যের জেরেই হত্যাকাণ্ড বেশি হচ্ছে। পাশাপাশি, মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কিশোর অপরাধ; অনেকে খুনের মত ঘটনায় জড়িয়ে যাচ্ছে।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, কোন ধরণের অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে বা কমেছে সেগুলো নিয়ে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেগুলোর মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে খুনের ব্যাপারে।
কালের আলো/ওএইচ