১৩ বছর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু
প্রকাশিতঃ 9:33 am | June 23, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে জড়িয়ে আছে আওয়ামী লীগের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে ৭০ বছরের পুরনো এ দলটির ইতিহাস যেমন জড়িত তেমনি সমার্থক বঙ্গবন্ধুর নাম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রায় ১৩ বছর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: ৭১ বছরে পা রাখল আওয়ামী লীগ
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রাজধানীর রোজ গার্ডেনে কর্মীর্ সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি, প্রখ্যাত ভাষাসৈনিক টাঙ্গাইলের শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক এবং কারাবন্দি শেখ মুজিবুর রহমানকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয় প্রথম কমিটি।
১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের কাঁধে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। পরের বছর ঢাকার ‘মুকুল’ প্রেক্ষাগৃহে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্মেলনে তাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
১৯৫৫ সালে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে রাখা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত টানা ১৩ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু।
আরও পড়ুন: ৭০ বছরে ৬ সভাপতি ও ৯ সাধারণ সম্পাদক আ.লীগের
আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে তিনি ১৯৬৬ সালে বাংলার জনগণকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে স্বাধিকার আদায়ের জন্য ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। সেই ৬ দফার ভিত্তিতেই গণআন্দোলনের পথ বেয়ে আসে ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান। ৭০’র নির্বাচনে বাঙালির নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও ৭১’র বিজয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বর্ণদুয়ারে পৌঁছে দেওয়া। এসবই সম্ভব হয়েছে জাতির আরাধ্য পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। দলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বঙ্গবন্ধু এ পদে ছিলেন ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি। হাজার বছরের এ শ্রেষ্ঠ বাঙালি লিখেছেন ‘কোথাও হল বা জায়গা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত হুমায়ুন সাহেবের রোজ গার্ডেনের বাড়িতে সম্মেলনের কাজ শুরু হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: আ.লীগের ‘প্রধান সম্পদ’ শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই শুরু উন্নতির অভিযাত্রা
মহান স্বাধীনতার এ স্থপতি উল্লেখ করেছেন, ‘সকলেই একমত হয়ে নতুন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গঠন করলেন; তার নাম দেওয়া হল- ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।
বঙ্গবন্ধু আরো লিখেছেন, ‘আমি মনে করেছিলাম, পাকিস্তান হয়ে গেছে। সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের দরকার নাই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে, যার একটা সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে।’
কালের আলো/এমএইচ/একে