আ.লীগের ‘প্রধান সম্পদ’ শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই শুরু উন্নতির অভিযাত্রা
প্রকাশিতঃ 11:18 am | June 23, 2019
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ২১ বছর পর সরকার গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ। টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অভূতপূর্ব অর্জনের পাশাপাশি চারবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড শুধুই শেখ হাসিনার দখলে।
আরও পড়ুন: ৭১ বছরে পা রাখল আওয়ামী লীগ
৩৮ বছর আগে উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনা পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি উন্নতির যে অভিযাত্রার সূচনা করেছিলেন এখন তাঁর সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ।
কঠোর পরিশ্রমী এ প্রধানমন্ত্রী মাত্র ৫ ঘন্টা ঘুমিয়ে ১৯ ঘন্টা দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণে ব্যয় করে যাদুমন্ত্রের মতো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দেশকে। সম্মান ও মর্যাদায় এক অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরছেন বাংলাদেশকে। নিজস্ব দক্ষতায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গোটা বিশ্বকে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তবতা। দেশজুড়ে সড়ক, মহাসড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার, পাতাল সড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, রেল, নৌ ও যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে শেখ হাসিনার সরকার।
আরও পড়ুন: ১৩ বছর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু
একটি নিন্ম আয়ের দেশ হতে নিন্মমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়ে ২০৪১’র আলোকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনার অনবদ্য নেতৃত্ব বিশ্বে দৃষ্টান্ত। আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের খসড়া ঘোষণাপত্রে শেখ হাসিনাকে দলটির ‘প্রধান সম্পদ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বগুণের অধিকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসায় নিজ দলের নেতা থেকে শুরু করে কর্মীরাও। শক্ত মনোবল, সাহসী নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিচক্ষণতা তাকে তুমুল জনপ্রিয় করে তুলেছে দেশের গন্ডি ছাপিয়ে বিদেশেও।
শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনা আজীবন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন বলে মনে করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত দশ বছরে দেশে ডিজিটাল রূপান্তরের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে।
আরও পড়ুন: ৭০ বছরে ৬ সভাপতি ও ৯ সাধারণ সম্পাদক আ.লীগের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে মানবতা ও সততার প্রতীক বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি। কালের আলোকে তিনি বলেন, ‘জননেত্রীর নেতৃত্বে দেশের যেদিকেই তাকাই চারিদিকে শুধু উন্নয়ন ও অগ্রগতি। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সৎ, কর্মঠ ও পরিশ্রমী ৫ প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শেখ হাসিনা অন্যতম।’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি এমপি কালের আলোকে বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য আল্লাহ’র নিয়ামত। তাঁর দক্ষ, সাহসী ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছেছে।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি কালের আলোকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্ববাসীর সামনে অনন্য উদাহরণ। তাঁর দূরদর্শী, প্রজ্ঞা ও সাহসী নেতৃত্বের দৌলতেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। সৎ, সাহসী ও মানবতার নেত্রী হিসেবেই তিনি সারা বিশ্বে পরিচিত।’
রাষ্ট্রপতির জ্যেষ্ঠ সন্তান ও কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের (ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) আসন থেকে নির্বাচিত হ্যাট্টিক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক কালের আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বিশ্বশান্তি রক্ষায় বিশ্বরত্ন শেখ হাসিনার অবদান স্বীকৃত।’
আওয়ামী লীগের গৌরবোজ্জ্বল ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা ও সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি কালের আলোকে বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশ ও জাতিকে ভালোবাসেন।
তিনি মানবতার নেত্রী। তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের চির আকাঙ্খিত স্বাধীনতা দিয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রী মুঠো মুঠো উন্নয়ন উপহার দিয়েছেন।’
কালের আলো/কেএএই/এমএএএমকে