সারাদেশে বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু
প্রকাশিতঃ 6:36 pm | July 13, 2019

কালের আলো ডেস্ক:
দেশের বিভিন্ন স্থানে শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে পাবনার বেড়ায় পাট ধোয়ার সময় বজ্রপাতে মারা গেছেন বাবা-ছেলেসহ চারজন। এরা হলেন, বেড়ার চাকলা ইউনিয়নের পাঁচুড়িয়া গ্রামের মোতালেব সরদার (৫৫), মোতালেবের দুই ছেলে ফরিদ উদ্দিন (২২) ও শরিফ উদ্দিন এবং একই গ্রামের রহম প্রামাণিক (৫৫)।
বেড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আরিফুল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে তারা পাট ধুচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন, হারিদুল মিয়া (৪৭) ও তার ছেলে মো. তারা মিয়া (১২)। তাদের বাড়ি উপজেলার ২ নম্বর দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মানিক কিলা গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার ঘারকিত্তা হাওরে মাছ ধরতে যান হারিদুল ও তার ছেলে। হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বজ্রপাতে দুরুল হোদা (৫৫) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। এদিন দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার বেনীপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আজম তৌহিদ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিকেলে হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় এবং বৃষ্টি শুরু হয়। দুরুল হোদা সে সময় মাঠে রোপন করছিলেন। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় গরু চরাতে মাঠে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে এনামুল হক (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এনামুলের বাড়ি সন্ন্যাসীপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আলী।
মোজাম্মেল হক জানান, সকালে গরু নিয়ে মাঠে যাচ্ছিলেন এনামুল। পথেই বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয় সে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় বজ্রপাতে চৈইত কোচ (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এদিন দুপুরে উপজেলার বড়বিলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার তথ্যের নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ফুলবাড়িয়া উপজেলার বড়বিলা বিলে চৈইত ও তার বড় ভাই মনু বর্মন মাছ ধরছিল। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই চৈইতের মৃত্যু হয়। এতে তার ভাই মনুও আহত হন।
এদিকে চুয়াডাঙ্গার আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এরা হলেন, মকবুলের ছেলে আল আমিন (৩০), গোলাম রসুলের ছেলে হুদা (৩২) ও মো. বরকতের ছেলে হামিদুল (৩৫)। তাদের বাড়ি মেহেরপুরের বারাদি ইউনিয়নে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোনিয়া আহমেদ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কালের আলো/এআর/এমএম