কী ছিল এরশাদের শেষ বক্তৃতায়?

প্রকাশিতঃ 11:31 am | July 14, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মারা গেছেন।

রোববার(১৪ জুলাই)) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিন ১ ফেব্রুয়ারি হলেও তার শেষ জন্মদিন পালন করা হয়েছে চলতি বছরের ২০ মার্চ। ওটা ছিলো তার ৯০তম জন্মদিন। ওইদিন দুপুরে দুপুরে গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টরে বিশাল এক কেক কেটে জন্মদিনের উৎসব শুরু হয়।

জন্মদিন উদযাপন কমিটি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে এরশাদ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।

এরশাদ তার জন্মদিনে বলেছিলেন, ‘দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলাম, কেউ পাশে ছিল না। শত অত্যাচার আমাদের দমাতে পারেনি। শুধু মনের জোরে এগিয়ে চলেছি, তাই শত ষড়যন্ত্র আমাদের ধ্বংস করতে পারেনি।’

‘আমার মতো নির্যাতিত নেতা আর কেউ নেই’ উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, অবিচার আর অত্যাচারে যে দল ভেঙে পড়ে না, সে দলকে কেউই ধ্বংস করতে পারবে না।

নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করে তোলো, যাতে আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যেতে পারে।’

অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, ‘সবাই পার্টির চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া করুন, যাতে তিনি সুস্থ হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নয় বছরে উন্নয়নের যে রেকর্ড গড়েছেন, তা কেউ ভাঙতে পারবে না।’

রওশন এরশাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে ছিলেন। কিন্তু দেশটি গড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় বঙ্গবন্ধু পাননি। কিন্তু দেশ গড়ার জন্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অসংখ্য কীর্তি অক্ষয় হয়ে আছে।’

এরশাদের ৯০তম জন্মদিনের সকাল থেকেই পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী স্লোগানে-স্লোগানে ইমানুয়েলস মিলনায়তন উৎসবমুখর করে তুলেছিলেন। বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে অনেকে ফুল ও কেক নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে এরশাদ মিলনায়তনে পৌঁছালে সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল।

কালের আলো/এআর/এমএম