বদলে যাওয়া বাংলাদেশের গল্প বললেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 9:19 am | August 05, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

দেশের প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি হাসপাতাল। যেখানে মিলছে ১১৫ পদের ওষুধ। গ্রামের তৃণমূল জনগোষ্ঠী বিনামূল্যে পাচ্ছে এসব ওষুধ। উৎপাদন হচ্ছে ২২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ১০ বছর আগে ছিল মাত্র ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। জীবনমান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে কর্মসংস্থান। বেড়েছে রপ্তানি আয়।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিএনপি’র ওবায়দুর রহমান কী বলেছিলেন, জানালেন এলজিআরডি মন্ত্রী

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে চিকিৎসা, অর্থনীতি, রাজনীতি, নিরাপত্তা, সংস্কৃতিসহ প্রতিটি মৌলিক ক্ষেত্রেই এনেছে যুগান্তকারী এক বিপ্লব। ইউনিয়নে ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার। শহর আর গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণ হচ্ছে। গ্রাম হবে শহর। দেশের দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক স্থাপনে ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে।

উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর লাল-সবুজের বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার এমন গল্প নিজের মুখেই বলে গেলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি।

আরও পড়ুনঃ কুমিল্লায় ইউপি সদস্যদের আলাদা অফিস, রয়েছে নাগরিকের হালনাগাদ তথ্য

যুক্তিবাদী এ বিশ্লেষক রোববার (০৪ আগষ্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘শতবর্ষের পথে বঙ্গবন্ধু’, চিত্রে, গানে, কবিতায় স্মরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠানে বদলে যাওয়া এমন বাংলাদেশের সারি সারি চিত্রপট তুলে আনলেন নিজের জবানীতে। আর্কাইভ ১৯৭১ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন কেউ পেছনে থাকবে না।

তাই শেখ হাসিনাও গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক করলেন নিজের প্রজ্ঞা দিয়ে। প্রতি ৬ হাজার লোকের জন্য একটি হাসপাতাল। যেটি বেগম জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এখন এই কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ১১৫ থেকে ১২০ পদের ওষুধ মানুষকে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।

ছবি-আনিসুর রহমান ফারুক, কালের আলো।

আরও পড়ুনঃ কলকাতা ডেঙ্গু মোকাবেলায় কীভাবে সফলতা পেয়েছে, জানালেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের পূর্বশর্ত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে ফোরলেন করার কাজ শুরু করেছিলেন। বিএনপি এসে বন্ধ করে দিয়েছে। আবার এটাকে এখন সম্পূর্ণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এর মধ্যে তিনটি ব্রিজ আবার ফোরলেন করে নতুন করে করার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রামে আসা যাওয়ার সময় ঘন্টা কমেছে। আগে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা লাগতো এখন সেটা নেমেছে ৫ ঘন্টায়।

পদ্মা ব্রিজের স্বপ্নও বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে
পদ্মা ব্রিজের কথা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু ব্রিজ হয়েছে। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু যখন জাপান সফর করেন তখন সেখানে এ ব্রিজ করার জন্য তাদের কাছে আবেদন করেছিলেন। তাঁরা তখন ফিজিক্যাল স্টাডি করেছে এবং সেই স্টাডির ওপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে ওই ব্রিজের কাজ হয়।

পদ্মা ব্রিজের স্বপ্নও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে ঘিরেই। আমাদের উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন শেখ হাসিনা আজ পূরণ করার জন্য দায়িত্ব নিলেও আসলে স্বপ্নগুলো বঙ্গবন্ধুর ছিল।

১০০ ইকোনমিক জোন
আগামীদিন দেশকে উন্নত বাংলাদেশের মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য শেখ হাসিনা ১০০ টি ইকোনমিক জোনের কথা বলেছেন বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। তিনি বলেন, ওই ইকোনমিক জোন হলে অনেক শিল্প-কারখানা হবে। সেগুলোর প্রয়োজনীয়তা মেটানোর জন্য এলএনজি গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে।

ছবি-আনিসুর রহমান ফারুক, কালের আলো।

‘ভারতের সাথে আমাদের সীমান্ত চুক্তি করার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। আমাদের সমুদ্র সমস্যা ছিল। সেই সমস্যা মায়ানামার ও ভারতের সাথে শেখ হাসিনার লিডারশিপের কারণে আমরা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি।’

বঙ্গবন্ধু আনপ্যারালাল লিডার
বঙ্গবন্ধু আনপ্যারালাল লিডার, বলেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন মানুষ যার যোগ্যতা, মেধা, কর্মময় জীবনের অবদান, অর্জন সবগুলো যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে তিনি আনপ্যারালাল।

বঙ্গবন্ধু এতো অল্প সময়ে রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থেকে কী করে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন তা নিয়ে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার এক বছরের মাথায় ৭২ সালে সংবিধান হলো। ৭২’র সংবিধান হলো সেই সংবিধান যার সকল অক্ষরগুলোই আমাদের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।’

কালের আলো/এসআর/এমএএএমকে