বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া আমাদের দায়িত্ব: প্রধান বিচারপতি
প্রকাশিতঃ 6:26 pm | August 15, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যেতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, জাতির পিতা যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন আমাদের দায়িত্ব হবে সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করা। তাহলেই তাঁর বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আজ শোকাবহ ১৫ অগাস্ট, জাতীয় শোক দিবস। ইতিহাসের বেদনাবিধুর ও বিভীষিকাময় এক দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তার পরিবারের ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা নারীও সেদিন ঘাতকের গুলি থেকে রেহাই পায়নি।
ওই হত্যাকাণ্ডকে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে অশ্রুভেজা ও কলঙ্কময়’ অধ্যায় হিসেবে বর্ণনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, বাঙালি জাতি আজ গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমাদের দায়িত্ব হবে সেই লক্ষ্যে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করা। তাহলেই তার বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান বিচারপতি দিনব্যাপী রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ সুপ্রিম কোর্টের এ রক্তদান কর্মসূচিতে সহযোগিতা দিচ্ছে।
জাতীয় শোক দিবসের সকালে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি। পরে তিনি যোগ দেন সুপ্রিম কোর্টের কর্মসূচিতে।
সকাল সাড়ে ৯টায় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। দিনটি উপলক্ষে কোরান খতমেরও ব্যবস্থা করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দা হাফসা ঝুমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এনএল/এমএইচএ