অন্যরকম দিন! হার-জিত মেনে নেওয়ার মন্ত্রে তিন বাহিনীর ক্রীড়াবীদরা!

প্রকাশিতঃ 7:51 am | September 23, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

ভাতৃত্ববোধ তৈরি করতেই মূলত প্রতি বছর আন্ত:বাহিনী সাঁতার, ওয়াটার পোলো এবং ডাইভিং প্রতিযোগিতা পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। কিন্তু প্রতিযোগিতায় হার-জিত নির্ধারণের পর এক পক্ষ আরেক পক্ষকে কীভাবে গ্রহণ করবে, বিজয়ের প্রকাশভঙ্গি কী হবে, সেরা খেলোয়াড়দের আচরণই বা কী হবে এসব বিষয়ে গুরুত্ববহ এক বার্তা পেয়েছেন ক্রীড়াবীদরা।

আরও পড়ুন: আন্ত:বাহিনীর সাঁতারুরা ‘অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে কাজ করবেন : সিজিএস সফিকুর রহমান (ভিডিও)

হতাশা বা বাগাড়ম্বরের মধ্যে নিজেকে সমর্পণ না করে নিত্যদিনই ভাতৃত্বের বন্ধন জাগরিত করার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক সুদৃঢ় করার এক মন্ত্রই যেন গেঁথে গেছে তাদের মনে। প্রতিযোগীদের ভাতৃত্বমূলক সম্পর্কের ভিত শক্ত করতেই এমন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো: সফিকুর রহমান।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার বনানীস্থ আর্মি সুইমিং কমপ্লেক্সে আন্ত:বাহিনী সাঁতার, ওয়াটার পোলো এবং ডাইভিং প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে তিনি অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে তাৎপর্যপূর্ণ এ বার্তা দেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো: সফিকুর রহমান সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই বলেছেন, ‘আমাদের এই প্রতিযোগিতাগুলো তিন বাহিনীর মধ্যে ভাতৃত্ববোধ বাড়ায়। আমরা যখন বিজয়ী হবো তখন হবো বিনয়ী।

আমাদের আনন্দের প্রকাশ হবে সংযত। যারা হেরে যাবে তাদেরকেও পরাজয় বিনয়ের সাথে গ্রহণ করতে হবে। কারণ আজকের পরাজয় আগামী দিনে জয়ের জন্য উৎসাহ এবং প্রেরণা হয়ে থাকবে।’

তিনি বলেছেন, ‘এই প্রতিযোগিতাগুলোর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের আন্ত:বাহিনীর সম্পর্ককে সুদৃঢ় করা, উন্নতি করা। আমরা ভবিষ্যতে সেটাই রাখবো। এর মাধ্যমে যেন ভাতৃত্ববোধ তৈরি করতে পারি।’

নিজের বক্তব্যের আগে বিজয়ী সাঁতারু ও ওয়াটার পোলো খেলোয়াড়দের গলায় মেডেল ও হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়ার আগে ক্রীড়াঙ্গণে সফল পদচারণার গল্প যেমন জেনে নিচ্ছিলেন তেমনি তাদেরকে উৎসাহিতও করছিলেন শব্দ বা বাক্যে। উল্লাসমুখর পরিবেশে একেকজন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করছেন।

স্বাগত জানানো মুহুমুর্হু করতালির শব্দে আবার তাঁর অনুপ্রেরণার হাতও তালি দিচ্ছে। খেলোয়াড়দের প্রতিভার মূল্যায়নে এটিও যেন প্রাণিত করারই দারুণ এক প্রয়াস।

প্রতিযোগিতায় সাঁতারে নৌবাহিনীর আধিপত্যেরও প্রশংসা করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো: সফিকুর রহমান। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তাদের সাফল্যের ফসল ঘরে তোলার আশাবাদ জানিয়ে বলেছেন ‘নৌবাহিনীর বেশীর ভাগ সময় কাটে সমুদ্রে।

সাঁতার তাদের জন্য বাধ্যতামূলক একটি বিষয়। তাদের যে আধিপত্য তা আন্ত:বাহিনীর ক্ষেত্রেই নয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তারা এই উৎকর্ষতা ধরে রাখতে সক্ষম হবে।’

কালের আলো/এমএ/ এসআর