প্রবীণদের মানসিক প্রশান্তি দিতে পারিবারিক সঙ্গ জরুরি : বশেফমুবিপ্রবি উপাচার্য
প্রকাশিতঃ 5:12 pm | October 07, 2019
কালের আলো প্রতিবেদক:
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘একটা বয়সের পর প্রবীণেরা মানসিকভাবে অসহায় হয়ে পড়েন। গ্রামে হলে তারা অনেকেই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাহচার্য কিংবা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকেন। তাদের সময় চলে যায়। কিন্তু শহরে সেটা হয়ে ওঠে না। তাই তাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার শুধু সম্মান আর ভাতা দিলেই হবে না। পারিবারিক আববে তাদের বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বড় পরিবারের মডেলটি টনিক হিসেবে কাজ করতে পারে।’
‘প্রবীণ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন রচিত ‘আওয়ার এল্ডারলি অ্যাট হোম অ্যান্ড অ্যাবরোড: ডিগনিটি অ্যান্ড ডেসপায়ার ইন ও গ্লোবাল এরা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ০১ অক্টোবরের (মঙ্গলবার) ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে সাধারণত ষাটোর্ধ্ব বয়সের মানুষকে প্রবীণ বলা হয়ে থাকে। কারণ এ বয়সের পর মানুষ দৈনন্দিন জীবিকা উপার্জনের কাজ থেকে অবসর নেন। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও ৬০ বা ৬৫ বয়সের পর একজন মানুষকে প্রবীণ বা ‘সিনিয়র সিটিজেন’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
‘সমাজে তাদের বিশেষ সম্মান ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। জাতিসংঘ প্রবীণ জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় কিছু নীতিমালাও প্রণয়ন করেছে। তবে তাদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে উদ্যোগ নিলেই হবে না। তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, রয়েল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার, জবির রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. ওহিদুজ্জামান প্রমুখ।
কালের আলো/এনআর/এমএম