‘লড়াকু’ ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিতঃ 1:49 am | April 21, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
নিজেকে ‘লড়াকু’ মানুষ মনে করেন সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তাকে নিয়ে সমালোচনাকেও স্বাগত জানান।

সমালোচনার ফলে নিজেকে শুদ্ধ করেন। তবে মন্ত্রী সতর্ক করেছেন সমালোচকদের। বলেছেন, সমালোচনা করে আমাকে কোণঠাসা করা যাবে না।

শুক্রবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে নির্মাণাধীন আধুনিক ও বিলাসবহুল পাঁচতারা হোটেল হোয়াইট সেন্ড রিসোর্টের উদ্যোগে ‘বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন কেউ কেউ। বিষয়টি আমলে নিয়ে সমালোচকদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক স্পষ্টই বলেন, ‘আমাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করে লাভ নেই।

আমার সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু আমি লড়াকু মানুষ। আমি তৃণমূল থেকে উঠে এসেছি। আমি কিন্তু হতাশ হব না।’

‘দুর্ঘটনা আমি অস্বীকার করি না, এটা হচ্ছে। আমার মধ্যেও অসহায়ত্ব কাজ করে, আমি কি মানুষ নই? আমি মন্ত্রী, আমি কি দায় এড়াতে পারব? কত চেষ্টা করছি। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।

কেউ রাস্তার শৃঙ্খলা মানে না। ছোট ছোট ব্যাটারিচালিত গাড়ি, যাত্রীরাও জানে এগুলোতে উঠলে বিপদ আছে। একটু টোকা লাগলে একজনও মানুষ বাঁচে না। তারপরও এ গাড়িগুলো রাস্তায়। এগুলো কি করব বলেন?’

কাদের বলেন, ‘চালকারাও কার আগে কে যাবে, কত ট্রিপ নিলে কত লাভ হবে। এ বিষয়টাই মাথায় থাকে। মানুষের জীবন নিয়ে আমরা খুব কম লোকই ভাবনা চিন্তা করি।

জীবনের চেয়েও টাকা, আমি কত লাভ করলাম, এটা যখন প্রাধান্য পায় তখন আমাদের অনেক ভুগতে হয়।’

যৌক্তিক সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘সমালোচনা আমাকে শুদ্ধ করে। আপনারা যারা বিরূপ সমালোচনা করেন, তারা একদিন বুঝবেন।

এ সমালোচনা সঠিক কি না। সমালোচনায় যদি বাস্তবতা ও রিজন (কারণ) থাকে তাকে আমি অবশ্যই মেনে নেব। এ মানসিকতা আমার রয়েছে।’

বিভিন্ন এলাকায় সড়ক নির্মাণ ও মেরামতের ক্ষেত্রে ভোগান্তি হচ্ছে স্বীকার করে কাদের বলেন, ‘বাচ্চা জন্ম দিতে মায়ের তো যন্ত্রণা হয়, এখন রাস্তা হচ্ছে, ব্রিজ হচ্ছে তাঁর বার্থ পেইন আছে না?

সেটা মানবেন না কেন? দেশের মিড়িয়ার একটা বড় অংশ এটাকে রাজনীতিতে নিয়ে যায়। এখানে বেশি কাজ হচ্ছে, একে অ্যাটাক করে।’

অনুষ্ঠানে হোয়াইট সেন্ড রিসোর্টের অন্যতম উদ্যোক্তা ও সোহানা গ্রুপের পরিচালক ফারিয়া মাহবুব পিয়াশাসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, পর্যটকদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের স্বনামধন্য সোহানা গ্রুপ কক্সবাজারের কলাতলীতে প্রায় ৬ বিঘা জমির ওপর গড়ে তুলছে পাঁচতারা হোটেল ‘হোয়াইট সেন্ড রিসোর্ট’।

এতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ রিসোর্টটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুরো কাজ শেষ করতে আরো বছর তিনেক সময় লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কালের আলো/আরএস/এএ