চার দিনের সরকারি সফরে মিয়ানমার যাচ্ছেন সেনাপ্রধান, আলোচনা হবে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও
প্রকাশিতঃ 11:10 pm | December 07, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ
চার দিনের সরকারি সফরে মিয়ানমার যাচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। আগামীকাল রোববার(০৮ ডিসেম্বর) তিনি মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: আইসিজে’র সঙ্গে সেনাপ্রধানের মিয়ানমার সফরের কোন সম্পর্ক নেই কেন?
গুরুত্বপূর্ণ এ সফরকালে তিনি মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সফরকালে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর উপ প্রধান ও সেনাবাহিনী প্রধান ভাইস সিনিয়র জেনারেল সো উইনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সূত্রটি জানায়, সাক্ষাৎকালে তারা দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ বিনিময়, শুভেচ্ছা সফর ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশ হতে প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
আইএসপিআর আরও জানায়, সেনাপ্রধান মিয়ানমার এর ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ, সামরিক জাদুঘরসহ একাধিক সামরিক-অসামরিক স্থাপনা পরিদর্শন করবেন। সফর শেষে সেনাবাহিনী প্রধান আগামী ১১ ডিসেম্বর ঢাকার উদ্দেশ্যে মিয়ানমার ত্যাগ করবেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের মিয়ানমার সফর নানা দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। এ সফরকে সামনে রেখে গত বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল
মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান।
সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিটারি টু মিলিটারি সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হবে। আমাদের সম্পর্ক যে অবস্থায় আছে সেটি আরও ভালো করার বিষয়ে আলোচনা হবে। যতবেশি আলোচনা হবে ততবেশি সম্পর্ক ভালো হবে।’
সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘সফরে প্রসঙ্গক্রমে রোহিঙ্গা নিয়ে কথা হবে, এটি নিয়ে কী কী সমস্যা হচ্ছে সেটি নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘আমরা তো যাচ্ছি, আমরা তো অনেক দেশে যাই। এটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে সফর। অনেক সময়ে আমরা বলি যেতে চাই, আবার অনেক সময়ে অন্যরা বলে যাওয়ার জনা। গত সপ্তাহে সৌদি চিফ অব জেনারেল এসে ঘুরে গেলেন। দ্বিপক্ষীয় সফরগুলো হয় সম্পর্কোন্নয়নের জন্য। আমরা যে অবস্থায় আছি তার থেকে আরও ভালো করতে চাই।’
তবে গত সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের মিয়ানমার সফরে আরেকটি লাইন অব নেগোসিয়েশন তৈরি হবে। সেনাবাহিনীপ্রধানের সফর আমাদের পক্ষে যাবে। কারণ, মিয়ানমার আমাদের শক্র দেশ নয়, বন্ধু দেশ। আমরা আলোচনার মাধ্যমে এটি (রোহিঙ্গা সমস্যা) সমাধান করতে চাই। আমরা বিভিন্ন কর্মপন্থা ও দৃতিয়ালি করে যাচ্ছি, যাতে করে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে। এ অবস্থায় আমাদের সেনাবাহিনীপ্রধান সে দেশে গেলে আমাদের জন্য মঙ্গল হবে। এর ফলে আরেকটি লাইন অব নেগোসিয়েশন চালু হবে। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই।’
কালের আলো/এনএল/এমএইচ