শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ উদ্বোধন শনিবার

প্রকাশিতঃ 1:24 pm | December 27, 2019

কালের আলো ডেস্ক:

অবশেষে বিশ্বমানের সব সুবিধা নিয়ে প্রায় সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের শুরু হচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টার্মিনাল-৩ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন।

আগামী ৪৮ মাসের মধ্যে এ টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

সিভিল অ্যাভিয়েশন জানিয়েছে, এটির গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং আউটসোর্স করা হবে। তবে নিরবচ্ছিন্ন ফ্লাইট পরিচালনার জন্য আরেকটি রানওয়ে নির্মাণ ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম আধুনিকায়নের পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।

১৯৮০ সালে চালু হওয়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বর্তমানে বছরে প্রায় ৯০ হাজার উড়োজাহাজ ওঠানামা করে। ৮০ লাখ যাত্রী ধারণ ক্ষমতার দুটি টার্মিনাল দিচ্ছে সক্ষমতার অতিরিক্ত সেবা। প্রতি বছর ৮ শতাংশ হারে যাত্রী বাড়লেও সে অনুপাতে বাড়েনি সুবিধা।

২০১৩ সালে নেওয়া হয় তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প। প্রায় ছয় বছর পর অবশেষে চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে নির্মাণ কাজ।

জাইকার ঋণ আর সরকারি অর্থায়নে, ভিভিআইপি টার্মিনালের পূর্ব পাশে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার জমির ওপর তৈরি হবে এটি।

পদ্মফুলের আদলের এ টার্মিনালে থাকবে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১৬টি লাগেজ বেল্ট, দুটি র‌্যাপিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে, ৩৫টি উড়োজাহাজ রাখার পার্কিং বে, বহুতল কার পার্কিং, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাসহ আন্তর্জাতিক মানের সব সুবিধা। থাকবে আমদানি ও রফতানির পৃথক কার্গো ভিলেজ। আর পুরো টার্মিনাল পরিচালিত হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।

বিমানবন্দর সড়কের পাশাপাশি উড়াল সেতু ও ভূগর্ভস্থ সংযোগ সড়কের মাধ্যমে যুক্ত হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেলের সঙ্গে।

সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, প্রযুক্তিগতভাবে সৌন্দর্যের দিক বিবেচনা করে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। পুরো টার্মিনালটা হবে অটোমেটেড।

তবে নিরবচ্ছিন্ন ফ্লাইট অপারেশনে নির্মাণ করতে হবে দ্বিতীয় রানওয়ে, বাড়াতে হবে রিফুয়েলিং সুবিধা। সেই সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ও আইএলএস সিস্টেমের আধুনিকায়নও প্রয়োজন।

কালের আলো/এমএস/এডিবি