স্বর্ণদ্বীপে সামরিক প্রশিক্ষণে বন্ধুপ্রতীম দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভূক্তির প্রত্যাশা সেনাপ্রধানের
প্রকাশিতঃ 9:33 pm | January 23, 2020
এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, অ্যাকটিং এডিটর, কালের আলো, স্বর্ণদ্বীপ (নোয়াখালী) ঘুরে এসে :
সিঙ্গাপুরের অর্ধেকেরও বেশি আয়তনের সুবিশাল স্বর্ণদ্বীপ। বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা বিস্তৃত এই ভূখন্ডে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২০১৩ সাল থেকে দেশপ্রেমিক এই বাহিনীর প্রশিক্ষণ এলাকা হিসেবে ব্যবহৃত এই দ্বীপটি এখন দেশের সবচেয়ে বড় ও আন্তর্জাতিক মানের সেনা প্রশিক্ষণ এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অপারেশন বিজয় গৌরব’;শত্রুপক্ষ দমনে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতায় মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী
ইতোমধ্যেই এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার সেনাসদস্য। ফলশ্রুতিতে স্বর্ণদ্বীপে সামরিক প্রশিক্ষণের পরিসর বৃদ্ধি করে বন্ধুপ্রতীম দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভূক্ত করতে মত দিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিজের এই প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস বন্ধুপ্রতীম দেশের সঙ্গে আমাদের যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ স্বর্ণদ্বীপে পরিচালিত হলে আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের সক্ষমতার ভাবমূর্তি আরও উজ্জল হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ, নির্দেশনা ও পরামর্শে স্বর্ণদ্বীপের অভূতপূর্ব উন্নয়নের বিষয়টিও কৃতজ্ঞচিত্তেই স্মরণ করেন সেনাপ্রধান। একই সঙ্গে স্বর্ণদ্বীপকে একটি পূর্ণাঙ্গ রণকৌশলগত প্রশিক্ষণাগার হিসেবে তৈরিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সর্বক্ষণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অনুপ্রাণিত করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর জাহাইজ্জ্যার চর এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে শীতকালীন এক প্রশিক্ষণ মহড়ার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপেই এই দ্বীপটি সেনাবাহিনীর বহুমুখী প্রশিক্ষণ এলাকার দীর্ঘদিনের অভাব যেমন পূরণ করেছে তেমনি সরকারের ফোর্সেস গোল ২০৩০ অর্জনে ভূমিকা রাখছে। নিজের বক্তব্যে অকাট্য যুক্তির মধ্যে দিয়েই গুরুত্বপূর্ণ এসব বিষয়াদি উপস্থাপন করেন সেনাপ্রধান।
২০২০ সাল বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায়
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ নিজের বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য জনগণের সাথে একাত্ম হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো দেশকে শত্রুমুক্ত করতে।
যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা পায়। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৭ বীরশ্রেষ্ঠসহ সকল শহীদদের, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন অভিযান, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ও বিডিআর বিদ্রোহে আত্মদানকারী সর্বমোট ১ হাজার ৮৮০ জন সেনাসদস্যকে।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘২০২০ সাল বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায়। কারণ এই বছরেই আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে উদযাপন করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালির স্বপ্নপুরুষ, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী।
মুজিববর্ষ শুরুর ক্ষণগণনাকালে এই মহতিক্ষণকে সামনে রেখে আমাদের হৃদয়ে বইছে মহাআনন্দ। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এ দুটি নাম একে অপরের সমার্থক। মুজিবর্ষের এই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতির পিতার স্বপ্ন সোনার বাংলা একটি বাস্তবতা। আর এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটেছে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে।
মাহেন্দ্রক্ষণে প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে আনন্দিত-গর্বিত
জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘এই মাহেন্দ্রক্ষণে আজ আমরা আপনাকে আমাদের মাঝে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত। আপনার শত ব্যস্ততার মাঝেও সেনাবাহিনীতে নবসংযোজিত অত্যাধুনিক সাজ সরঞ্জামাদির সমন্বয়ে আয়োজিত মহড়ায় মূল্যবান সময় দিয়ে এই অনুশীলনকে অর্থবহ করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আপনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে রনাঙ্গণেই অভ্যুদয় হয়েছিলো আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সদস্যগণ এদেশের আপামর জনসাধারণের সাথে কাঁধে কাধঁ মিলিয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছিলো। স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার কঠিন সংগ্রামের মধ্যেই দেশের জন্য একটি অত্যাধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে আপনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমাদের সেনাবাহিনী আজ একটি শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের আস্থা অর্জনের পাশাপাশি জাতীয় প্রয়োজনে যে কোন দায়িত্ব পালনে সক্ষমতা অর্জন করেছে।’
একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত সেনাবাহিনী
প্রশিক্ষণ, আধুনিক সরঞ্জাম ও দৃঢ় সাংগঠনিক ভিত্তিতে বলিয়ান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আজ সম্পূর্ণ প্রস্তুত মন্তব্য সেনাপ্রধানের। তিনি বলেন, ‘জাতির জনকের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে চলেছে।
জাতির পিতার নির্দেশিত প্রতিরক্ষা নীতি ১৯৭৪ এর আলোকে বাংলাদেশের নতুন প্রতিরক্ষানীতি ২০১৮ ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রবর্তিত হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ দিকনির্দেশনায় ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।’
সেনাবাহিনীকে স্বর্ণদ্বীপ হস্তান্তর
সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপযুক্ত প্রশিক্ষণে অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষে নোয়াখালীর মেঘনা নদীর মোহনায় জেগে উঠা জাহাইজ্জ্যার চরটি যা বর্তমানে স্বর্ণদ্বীপ নামে পরিচিত গত ২০১৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করেছিলেন।
এই চরটি তখন থেকেই দেশের স্বাভাবিক নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে ছিলো এবং সময়ের পরিক্রমায় চরটি জলদস্যুদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিলো। এই চরটি জলদস্যুমুক্ত করে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষাপূর্বক একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক প্রশিক্ষণাগারে রূপান্তরের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এই সময়োপযোগী উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রত্যয়ব্যক্ত করছি যে, এই ধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা কাজে লাগিয়ে সেনাবাহিনী তার অভিষ্ট লক্ষে পৌছাতে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ।’
প্রাকৃতিক বৈরিতার সেই গল্প
সেনাবাহিনী স্বর্ণদ্বীপের দায়িত্বগ্রহণের পর অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারনে এই দ্বীপে চাষাবাদ উপযোগী ছিল না, এ বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই উপস্থাপন করেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লবণাক্ত পানি প্রবেশরোধে বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করে। ২০১৭ সালে এই দ্বীপে ৬০ একর জমিতে ৩৫০ মণ ধান উৎপাদিত হয়।
চাষের আওতা সম্প্রসারণ ও লবণাক্ত পানিতে চাষ উপযোগী ধানবীজ সংগ্রহ ও রোপণকল্পে গত বছর ৩৫০ একর জমিতে ৪ হাজার ৫০০ মণ ধান উৎপাদিত হয়েছে। ভবিষ্যতে ১০ হাজার একর জমি কৃষি কাজের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে ধান ছাড়াও অন্যান্য ফসলাদি আবাদ করা হবে।’
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান বলেন, ‘আমরা আশা করি স্বর্ণদ্বীপে উৎপাদিত কৃষিদ্রব্য বাংলাদেশের চাহিদার একটি ক্ষুদ্র অংশ হলেও পূরন করতে সক্ষম হবে। ইতোমধ্যে স্বর্ণদ্বীপে মিলিটারি ফার্ম স্থাপন করা হয়েছে। এখানে গরু ও মহিষ, ভেড়া, হাস ও কবুতর পালন করা হচ্ছে।
ভবিষ্যতে স্বর্ণদ্বীপে ১০ হাজার উন্নত জাতের মহিষ পালনের উপযুক্ত খামার তৈরির পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এই ফার্মে উৎপাদিত দুধ ও মাংস দেশের ক্রমবর্ধমান আমিষের চাহিদা পূরণ করবে বলে আমরা আশা প্রকাশ করি।’
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি জেনে খুশি হবেন যে, স্বর্ণদ্বীপে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং সেনাবাহিনী ইঞ্জিনিয়ার কোরের তত্বাবধানে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মানের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। উক্ত হাসপাতালে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সেনাসদস্যসহ দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ হাজার লোকজন স্বাস্থ্যসেবা পাবে।’
প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনায় স্বর্ণদ্বীপের উন্নয়ন
সেনাপ্রধান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আরও জানিয়ে রাখতে চাই ভবিষ্যতে স্বর্ণদ্বীপের উন্নয়ন লক্ষে আপনার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা মৎসচাষ সম্প্রসারন, খামার স্থাপন, ১০০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন, ভূমি উন্নয়ন ও সম্পূর্ণ দ্বীপ জুড়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হবে ক্রমান্বয়ে। স্বর্ণদ্বীপের এ উন্নয়ন বাংলাদেশে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমরা আশা করি।
আপনার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনায় বর্তমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এরই লক্ষ্য হিসেবে ইতিপূর্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক ট্যাংক, আর্টিলারি গান, ট্যাংক ও বিমান বিধ্বংসী মিসাইলসহ নানাবিধ অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের সম্মিলন ঘটেছে।
ইতোপূর্বে আপনারা অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি সমন্বয়ে একটি মহড়া প্রত্যক্ষ করেছেন। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বর্তমান আধুনিক সক্ষমতার একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।’
একুশ শতকের নিরাপত্তার হুমকি
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, ‘একুশ শতকের নিরাপত্তার হুমকিসমূহ অত্যন্ত জটিল ও ব্যাপক। প্রথাগত সামরিক হুমকির পাশাপাশি অপ্রচলিত সম্ভাব্য সামরিক হুমকি মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। তবে সেনাবাহিনীর শক্তিমত্তা কেবল আধুনিক অস্ত্র বা সরঞ্জামের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব নয় বরং কঠোর প্রশিক্ষণ, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি দেশপ্রেমে বলিয়ান মানব সম্পদ সৃষ্টির মাধ্যমে যেকোন হুমকি মোকাবিলা করা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘আপনার সদয় আন্তরিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্রমাগত আধুনিকায়নের মাধ্যমে ইতোমধ্যে যে সক্ষমতা অর্জন করেছে তা ধরে রাখার পাশাপাশি উন্নত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে আমরা প্রতিপক্ষের সক্ষমতাকে পরাভূত করার দক্ষতা অর্জন করবো বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আমরা জানি আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে এই সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করত; বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্ম ও উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পেশাগত উৎকর্ষতার মান ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে ইনশাআল্লাহ।’
জেনারেল আজিজ আহমেদ আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি অবহিত আছেন যে স্বর্ণদ্বীপে আরও দীর্ঘ সময় ধরে প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই লক্ষে বাঁধ নির্মাণ করে বা মাটি ভরাট করে স্বর্ণদ্বীপকে বর্ষাকালেও পানিমুক্ত রাখা এবং প্রশিক্ষণ কাজে ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণদ্বীপে এসে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী তাকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ, নোয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্য বেগম আয়েশা ফেরদাউস, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার খান ও ফরিদা খানম সাকী, প্রতিরক্ষা সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসিন চৌধুরী, সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো: মাহফুজুর রহমান, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (আর্টডক) জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস.এম.শফিউদ্দিন আহমেদ, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল শামসুল হক প্রমুখ।
কালের আলো/এএমএএএমকে