বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 4:08 pm | May 17, 2018

শোবিজ প্রতিবেদক, কালের আলো:

খ্যাতনামা সংগীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার রাতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।”

তার এই পোস্টে প্রধানমন্ত্রী গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পলক বলেন, “তার চিকিৎসায় যা যা করণীয় তিনি সবই করবেন। স্বপ্রণোদিত হয়েই তিনি এই গুণীজনের খোঁজখবর নেন।”

মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল লিখেছিলেন, ‘একটি ঘরে ছয় বছর গৃহবন্দি থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে আটটা ব্লক ধরা পড়েছে। এরই মধ্যে কাউকে না জানিয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানে সিসিইউতে চার দিন ছিলাম। আগামী ১০ দিনের মধ্যে হার্টের বাইপাস সার্জারি করানোর জন্য প্রস্তুত আছি।”

গৃহবন্দি থাকার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধুরা, সরকারের নির্দেশে ২০১২ সালে আমাকে যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসেবে দাঁড়াতে হয়েছিল। সাহসিকতার সঙ্গে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে হয়েছিল ১৯৭১ সালে ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলখানার গণহত্যার সম্পূর্ণ ইতিহাস। ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে আমি একজন। হত্যা করা হয়েছিল একসঙ্গে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে। কিন্তু এ সাক্ষ্য দেয়ার কারণে আমার নিরপরাধ ছোট ভাই মিরাজকে হত্যা করা হবে, তা কখনও বিশ্বাস করতে পারিনি। সরকারের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার পাইনি।’

বুলবুল বলেন, ‘কোনো সরকারি সাহায্য বা শিল্পী, বন্ধুবান্ধব সাহায্য আমার দরকার নাই, আমি একাই যথেষ্ট (শুধু অপারেশনের আগে ১০ সেকেন্ডের জন্য বুকের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা এবং কোরআন শরিফ রাখতে চাই)। আর তোমরা আমার জন্য শুধু দোয়া করবে। কোনো ভয় নেই।’