প্রধানমন্ত্রী শোনতে চাইলেন মেয়র টিটুর কথা, ‘মেয়র অ্যাকটিভ’ প্রশংসা রওশনেরও

প্রকাশিতঃ 6:09 pm | March 13, 2020

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :

বরাবরই নিজের মনোবল, প্রবল আত্নবিশ্বাস ও দৃঢ়তায় অবিচল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশাল কর্মযজ্ঞ নিয়ে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দেশকে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিকে পশ্চিমাদের কাছেও বিস্ময়কর জায়গায় নিয়ে গেছেন।

দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের একমাত্র ঠিকানা হয়ে উঠেছেন। মমতাময়ী এই প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমেই যে কেবল এই রোগ থেকে মুক্ত থাকার একমাত্র ওপায় সেই বিষয়টিও স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করেছেন।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব গাইডলাইন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরকারের সাড়া জাগানো এই কর্মসূচিতে দৃষ্টি কেড়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের উপস্থিতি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এমনিতেই গভীর হৃদ্যতা রয়েছে রওশন এরশাদের। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও রওশন এরশাদের ধীর-স্থির মনোভাব এবং নীতিতে অটল থাকায় তাকে পছন্দ ও বিশ্বাস করেন শেখ হাসিনা।

দীর্ঘদিন পর সরকারি কোন বৃহৎ কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের উপস্থিতি ইতিবাচক রাজনীতির জন্য নিয়ে এসেছে নতুন বার্তা। উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সরকার প্রধান ও বিরোধী দলের নেতার একসঙ্গে সম্ভাব্য সংকটে একই মঞ্চে বসে ভূমিকা নেওয়ারও বিরল নজির স্থাপিত হয়েছে বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ)।

কঠিন ঘাত-প্রতিঘাতের ভিতর দিয়ে জীবন অতিবাহিত করা নিজের ৪০ বছরের সংগ্রামমুখর রাজনৈতিক জীবনে এমন রাজনৈতিক প্রজ্ঞার জোরেই বারবার গণতন্ত্রের সংগ্রামে সফল হয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই সাফল্য হাতের মুঠোয় পরে পথ হাঁটছেন।

দেশকে শুধু মধ্যম আয়ের দেশেই নিয়ে যাননি, অবকাঠামোর উন্নয়নে বিশেষ করে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প নিজ টাকায় করে গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন। সাবমেরিনই কেনা হয়নি মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছেন।

সমুদ্র বিজয় থেকে সীমান্ত সীমানা বা ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছেন। বিশাল বাজেট বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ দেশজুড়ে বাস্তবায়ন করে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন বিশ্বের অন্যতম সৎ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।

এই ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কথা বলেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর এক পাশে বসা ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি এবং জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি। অনুুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাইডলাইন দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহীসহ অনেক বিভাগের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী যুক্ত হলেও নিজের আগ্রহেই কথা শোনেছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু’র। টানা ৯ বছর ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ছিলেন টিটু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আপত্য স্নেহ-আশীর্বাদের দৌলতেই এই সময়ে উন্নয়ন বিপ্লব সংঘটিত করেছিলেন ময়মনসিংহে।

সেই সফলতার পুরস্কার হিসেবে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রথমে প্রশাসক ও পরবর্তীতে দলীয় মনোনয়নে মেয়রও নির্বাচিত হন। তরুণ এই মেয়রের আবেগ-অনুভূতিজুড়ে কেবলই যেন বহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রাঞ্জল উপস্থাপনায় ডিসি মিজানুর
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে ময়মনসিংহের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সঞ্চালকের দায়িত্বে থাকা ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো.মিজানুর রহমান স্বল্প সময়েই ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর’ থিমের সারসংক্ষেপ প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করেন।

ডিসি মিজানুর বলেন, ‘বাঙালি জাতির মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের প্রাক্কালে এই ধরণের চমৎকার কর্মসূচি আপনি সারাদেশে উদ্বোধন করলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এটি আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।’

জনবান্ধব এই জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু নরওয়ের একটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। যাতে আমরা এখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্ল্যান্ট স্থাপন করতে পারি।

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন জেলার ৩০০ টি গ্রামের মানুষের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যাতে গ্রামের মানুষ নিজেদের উদ্যোগে নিজেদের গ্রাম সুন্দর করতে পারে। সিটিজনদের ভূমিকা জোরালো করার জন্য এটি করেছে। আপনি যার সঙ্গে কথা বলতে সম্মতি দিবেন তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দেবো।’

প্রধানমন্ত্রী বললেন, মেয়রের কথা শোনে নেই
এই পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আমার মেয়রের কাছ থেকেই শুনি। সেই সাথে মেয়র একটি অঙ্গীকারও করবে পরিচ্ছন্নতার। কারণ সেই উদ্যোগ নিবে, এটাই আমরা চাই। আমাদের বিরোধী দলীয় নেতাও আমার পাশেই বসে আছেন। তিনিও পরে শুভেচ্ছা বাণী দিবেন। আগে মেয়রের কথা শোনে নেই।’

প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নপূরণে মেয়র টিটু
এরপর ময়মনসিংহ প্রান্তে উপস্থিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু নিজের বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বাঙালির মহত্বম নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার সানুগ্রহ দিক নির্দেশনা মোতাবেক আমরা পরিচ্ছন্ন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন গড়ে তুলতে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছি।

মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আপনি দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ময়মনসিংহ বিভাগ, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন উপহার দিয়েছেন। ব্রক্ষপুত্র নদ খননে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। এবং ময়মনসিংহকে ঘিরে শত শত একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়েছেন।

যার ফলে ময়মনসিংহবাসী সেই সুবিধাগুলো ভোগ করছি। আপনার বদান্যতায় সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আপনার সহযোগিতায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।’

ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘আপনার একজন কর্মী হিসেবে আপনার দিক নির্দেশনা পালন করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। ময়মনসিংহের সকল সড়কসমূহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য মুজিববর্ষকে সামনে রেখে কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।

এই বছরে রাত্রিকালীন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম শুরু করেছি। যার ফলে ময়মনসিংহবাসী অনেকাই সুফল ভোগ করছেন। আমাদের বড় বড় খাল, ড্রেন-নালা সেগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।

যেন ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া থেকে আমরা পরিত্রাণ পেতে পারি। গত বছর আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে ময়মনসিংহবাসীকে ডেঙ্গুমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছিলাম। এই বছরও সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।

স্কুল-কলেজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন ধরণের উদ্ধুদ্ধকরণ সভার মাধ্যমে সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় খালগুলো দখলমুক্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

তরুণদের আইকন, আপনার সুযোগ্য আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বদান্যতায় মুজিববর্ষে ময়মনসিংহবাসীকে অটোমেশন প্রক্রিয়ার সুফল দিতে সক্ষম হয়েছি। ৫ টি সার্ভিস, বিভিন্ন ধরণের সার্টিফিকেট, পানির বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স, এসেট ম্যানেজমেন্ট ঝামেলামুক্ত অটোমেশন প্রক্রিয়ায় ঘরে বসেই যেন পেতে পারেন সেই চেষ্টা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ওয়ান স্টপ সার্ভিস করেছি। নবগঠিত সিটি করপোরেশনের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। এগুলো পূরণে আপনার সহযোগিতা কামনা করছি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিদেশী সংস্থার সাথে সমঝোতা স্মারক করেছি।

তারা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জায়গা ক্রয় ও বর্জ্য সংগ্রহ করে সেখান থেকে বিদ্যুৎ, সার ও ডিজেলসহ অন্যান্য উপাদান উৎপাদন করবে। এতে করে ময়মনসিংহের বর্জ্য জিরো পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবো।’

প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে নিজের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার কথা জানিয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা মেয়র মো.ইকরামুল হক টিটু আরও বলেন, ‘আপনার বদান্যতায় ময়মনসিংহকে ঘিরে যেসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছি সেগুলোর মাধ্যমে অনেক কিছু আমরা উপহার দিতে পারবো।

আবারও আপনার কাছে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, এই সিটি করপোরেশন আপনার উপহার। আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী আপনার স্বপ্ন পূরণে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবো।’

ময়মনসিংহের উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের দাবি রওশনের
ভিডিও কনফারেন্সের এই মুহুর্তে কেন্দ্রীয় সঞ্চালকের দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউস জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপিকে বক্তব্য রাখার অনুরোধ করেন।

রওশন বক্তব্য রাখবেন, তখন দুই দফা প্রধানমন্ত্রী তাকে মাইকটি এগিয়ে দিতে দায়িত্বশীলদের নির্দেশ দেন। রওশন মর্যাদাপূর্ণ ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে এবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

টানা দ্বিতীয়বার বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালনের গৌরব অর্জন করা বেগম রওশন এরশাদ কথা বলতে শুরু করলেন। প্রথমেই বলেন, ‘ডিসি ও সিটির মেযর কথা বলেছেন। মাত্র কিছুদিন আগে আমাদের ডিভিশন হয়েছে। এই ডিভিশনের পুরোপুরি কাজ শুরু হয়নি। আশা করি অচিরেই কাজ শুরু হবে।’

ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে গণভবনে প্রবেশ করছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম তার সঙ্গে ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। আমরা বাংলাদেশের পার্লামেন্টের মেম্বার হতে পারতাম না। স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতাম না। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ চালাচ্ছেন।

আশা করি প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ শহরকে তিলোত্তমা শহর হিসেবে গড়ে তুলবেন। আপনি আমাদের দেখাশুনা করবেন।’

মুজিববর্ষ এবার করোনা ভাইরাসের কারণে ছোট হয়ে আসলো বলেই আক্ষেপ রওশনের। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সারা বছর তো আছেই। এই অনুষ্ঠানগুলো পরবর্তীতে করতে পারলে আমাদের মনের আশা-প্রত্যাশা পূরণ হবে।

সম্রাটদের সময় অশোকবর্ষ ছিল। শত বছর পর এসেছে মুজিববর্ষ। আমাদের ভাগ্য যে এই বর্ষ আমরা করতে পারছি। ভারত মহাদেশে অনেক সম্রাট এসেছে। দু’জন বিখ্যাত ছিল সম্রাট অশোক ও সম্রাট আকবর।

আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধুর একশত জন্মদিনে মুজিববর্ষ হলো। আমরা বলবো আমরা ভাগ্যবান আমাদের মহান একজন নেতাকে পেয়েছি, যার মাধ্যমে বর্ষ পালন করছি। আমাদেরকে দেশটাকেও সেভাবে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি শহর গ্রাম সেইভাগে গড়ে তুলতে পারলে আমরা এগিয়ে যাবো। সারা বিশ্বে করোনার গজব চলে এসেছে।

আমাদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে ইসলাম সবচেয়ে বেশি তাগিদ দেয়। সেই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর গড়ে তোলার কাজে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নেরও দাবি জানান রওশন। সারা পৃথিবীকে প্লাস্টিকের বর্জ্য গিলে ফেলছে।’

মেয়র টিটুর প্রশংসা করলেন বিরোধী দলীয় নেতা
ময়মনসিংহ বিভাগ ও সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়ারও দাবি তোলেন সংসদের বিরোধী দলীয় এই নেতা। তিনি প্রশংসা করেন ময়মনসিংহের প্রথম নগর পিতা, আলোড়িত-আন্দোলিত নগরবাসীর প্রাণভ্রোমরা ইকরামুল হক টিটুর।

রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমাদের যথাযথ ফান্ড প্রয়োজন। ফান্ড দিলে কাজ করতে পারবো। আমাদের মেয়র অ্যাকটিভ ও ভালো আছে। আমাদের পর্যাপ্ত ফান্ড দরকার। কাজেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করবো তিনি যাতে এখানে দৃষ্টি দেন। যাতে আমারা পরিচ্ছন্ন গ্রাম ও শহর গড়ে তুলতে পারি।’

বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগকে উন্নত ও পরিকল্পিত বিভাগ গড়ে তুলতে সুনির্দিষ্ট জায়গা করে দিয়েছি। যাতে করে নতুনভাবে সম্পূর্ণ আধুনিকায়ন করে বিভাগকে গড়ে তোলা যায়। আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে সবাইকে।’

কালের আলো/এসআর/এইচএস/এমএএএমকে