শুধু উপমহাদেশ নয়, বৈশ্বিক পরিমন্ডলেও গুরুত্বপূর্ণ শেখ হাসিনার নেতৃত্ব: আমিনুল হক শামীম
প্রকাশিতঃ 10:17 pm | June 23, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
‘বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন আর উপমহাদেশেই গুরুত্বপূর্ণ নেতা নন, বৈশিক পরিমন্ডলেও তাঁর নেতৃত্ব অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে চমকপ্রদ এবং যৌক্তিকতার মিশেলে তথ্যপূর্ণ উপস্থাপনায় বার বার মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন আমাদের নেত্রী।’
একদমে কথাগুলো বলছিলেন, এফবিসিসিআই নির্বাচনে টানা তিনবার রেকর্ডভোটে নির্বাচিত পরিচালক, দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ময়মনসিংহ জেলা আ’লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম।
তিনি বলেন, দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ন্যায়, সততা, সুশাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে আমাদের প্রিয় নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) ধরা হচ্ছে। প্রকৃতঅর্থেই সঠিক পরিকল্পনা, নিয়মানুবর্তিতা, দায়িত্বশীলতা, বিচক্ষণতা এবং ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের কারণে বিশ্বে মর্যাদায় শেখ হাসিনার অনন্য সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
ইতিহাস-ঐতিহ্যের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে এমন মূল্যায়ন দেশের অন্যতম শীর্ষ এ ব্যবসায়ী নেতার।
দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে একজন সফল উদ্যোক্তা ও বিশিষ্ট রাজনীতিক আমিনুল হক শামীম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাঙালী জাতীয়বাদের মূল ধারা। এটা বাঙালী জাতির গৌরবের যে, দ্বিজাতিতত্ত্বের চোরাবালি থেকে বাঙালী জাতিকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর মতো একজন শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি যিনি হাজার বছরের বাঙালী জাতির সাধনা, ধ্যান, জ্ঞান তার বিপুল সংস্কৃতির ভান্ডারের অন্তর্গত সত্যকে নিজের জীবনে ধারণ করে তা রূপ দিয়েছিলেন দীর্ঘ দু’শ বছরের ধর্ম ও রাজনীতির সংমিশ্রণে জাতীয়তাবাদের বিকৃতি থেকে আমাদের মুক্ত করে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী দু’এক শতাব্দীর মধ্যেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মতো একজন মহামানব, যুগ সৃষ্টিকারী কোন ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটবে, তা কল্পনাও করা যায় না। তাই আজ গোটা বাঙালী জাতি আওয়ামী লীগের শুভ জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমানকেও।’
দেশ বিরোধী চক্রের শত ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনা ধারণ করে আর্থ সামাজিকসহ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমিনুল হক শামীম মনে করেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
দৈনিক কালের আলো’র সঙ্গে আলাপকালে আমিনুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ আজ মর্যাদাশীল একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল- একটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা। অন্যটি বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করা।
একটি তিনি পূর্ণ করে গিয়েছেন। আরেকটি আজকে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলেছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।’
যেভাবে স্বর্ণশিখরে আমিনুল হক শামীম
সেই শৈশব থেকেই তিনি স্বপ্নবাজ। সহজ-সরল, বিনয়ী ও মিষ্টভাষী। সাফল্য অর্জনের স্বপ্ন তাঁর জীবনের মূলমন্ত্র। স্বপ্নকে কীভাবে বাস্তবায়ন করতে হয়, সততা, পরিশ্রম ও আত্নবিশ্বাসের দৌলতে কীভাবে সফল উদ্যোক্তা ও দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীর খাতায় নিজের নাম লিপিবদ্ধ করতে হয় তাঁরই এক জ্বলন্ত উদাহরণ আমিনুল হক শামীম।
দেশের ব্যবসায়ীদের পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত এফবিসিসিআই’র টানা তিনবার রেকর্ড ভোটে নির্বাচিত পরিচালক তিনি। সিআইপি খেতাবের ক্ষেত্রেও হ্যাট্টিক রয়েছে তাঁর সাফল্যের ঝুলিতে। ময়মনসিংহের কৃতি সন্তান, সৎ, পরিশ্রমী ও দেশপ্রেমিক এ মানুষটি সম্প্রতি পা রেখেছেন ৫৬ বছরে।
সততা, পরিশ্রম ও আত্নবিশ্বাস থাকলে জীবনে সফল হওয়া যায়, তাঁর অনুকরণীয় এক দৃষ্টান্তের নাম আমিনুল হক শামীম। দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশেও তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত। ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাঁর উদ্যোগে একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে।
দেশের স্বনামধন্য এ পরিবহন ব্যবসায়ী পর্যটন ব্যবসায়েও পরিধি বাড়িয়েছেন। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে হোটেল সি ক্রাউন ও ইনানী বিচে হোটেল সি পার্ল অ্যান্ড স্পা নামে দু’টি আধুনিক হোটেল গড়ে তুলেছেন। তিনি ময়মনসিংহ জুট মিলস লিমিটেডেরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সরকারি মালিকানায় বছরের পর বছর লোকসানে বন্ধ থাকা জুট মিলটিকে কীভাবে ব্যক্তি মালিকানায় নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে হয় তাও দেখিয়েছেন এই স্বপ্নদ্রষ্টা। বন্ধ থাকা এ মিলটি চালু করে শত শত শ্রমিকের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
সৎ পথে থেকে ব্যবসা করলে সফলতা আসবেই বাবা-মা’র এমন বক্তব্যই শৈশবে আন্দোলিত করতো আমিনুল হক শামীমকে। প্রয়াত খাদ্য কর্মকর্তা বাবা উৎসাহ দিতেন। পাশে থেকে সাহস জোগাতেন। শামীম এন্টার প্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আমিনুল হক দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা পরিবহন মোটর মালিক সমিতির।
একাধিকবার ছিলেন মহাসচিব। এখন দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক হিসেবে।
দেশের এ বিশিষ্ট শিল্পপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে চীন, ভারতসহ একাধিক দেশ সফর করেছেন। আমিনুল হক শামীমের পরিচিতজন মাত্রই বিশ্বাস করেন, কঠোর পরিশ্রম, উদ্ভাবনী ভাবনা ও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলার মতো দৃঢ় চিন্তাই তাকে সফলতার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে।
আমিনুল হক শামীম নিজেও বিশ্বাস করেন সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ব্যবসায় উদ্ভাবনী ধারণা যোগ করা গেলে সফলতা আসবেই। তবে প্রতিটি কাজই কঠিন। কারণ, প্রতিটি বিষয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা চ্যালেঞ্জিং। তিনি এও বিশ্বাস করেন, জীবনে শেখার কোন শেষ নেই। প্রতিটি ধাপেই শিখতে হয়।
এবং শিক্ষা অর্জনকে ঠিকঠাক কাজে লাগাতে হয়। ব্যবসা খাতে মেধা ও বিচক্ষণতার সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের প্রথম সারির ব্যবসায়ীদের কাতারে নাম লেখানো বিশাল হৃদয়ের মহৎ মনের অধিকারী এ মানুষটি রাজনীতিতেও উঠে এসেছেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি।
কালের আলো/এমকে
** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে কালের আলো’র ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: KalerAlo/Facebook