বাবুল চিশতীসহ ৩ জনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত

প্রকাশিতঃ 12:19 pm | June 15, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন কেলেঙ্কারির হোতা ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীসহ তিন জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অন্যরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীম এবং ব্যাংকের আইটি বিভাগের প্রধান ও ইভিপি মো. শাহ আজম।

রোববার (১৪ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। ফ্রিজ করা তথ্য বিবরণীতে বাবুল চিশতীর-পলামতলা, নতুনবাজার বকশীগঞ্জ, জামালপুরের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।

দি ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) উদ্যোক্তা পরিচালক হয়ে মাহবুবুল হক চিশতী কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণে অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ভাইকে ঋণ দিয়েছেন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে। এসব ঋণের অর্থের সুবিধাভোগী তিনি নিজেই। ঋণের অর্থে ফারমার্স ব্যাংকের শেয়ার কিনেছেন নিজ নামে। ব্যাংকের সাধারণ আমানতকারীর অর্থে লুট করে এভাবে হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।

ঋণ কেলেঙ্কারি ও আত্মসাতে ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরিবারের সদস্যসহ মোট মামলা ১২টি। এসব ঋণ কেলেঙ্কারির অর্থ ফেরত পেতে বাবুল চিশতীর স্থাবর-অস্থাবর ও ব্যাংক হিসাবে থাকা এফডিআরের অর্থ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালাত।

এর মধ্যে রয়েছে ১৩৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মাহবুবুল হক চিশতি ও তার পরিবারের ৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচ মামলা।

২০১৯ সালের ১৭ অক্টোববর ১১৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে বাবুল চিশতীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা।

২০১৮ সালের ৮ আগস্ট দায়ের করা আরেকটি মামলায় বাবুল চিশতীর বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের অর্থে বিদেশ ভ্রমণ করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এরপর একই বছরের ২৮ অক্টোবর একটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ২৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া এবং সেই অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয় বাবুল চিশতীর বিরুদ্ধে। এ মামলায় তার সঙ্গে আরও পাঁচজনকে আসামি করে দুদক।

২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় বাবুল চিশতীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

কালের আলো/এসডি/এমএম