কার্লাইল এলেন কীভাবে, জানতে চায় দিল্লি

প্রকাশিতঃ 9:06 pm | July 23, 2018

কালের আলো ডেস্ক:

বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও ব্রিটিশ লর্ডসভার সদস্য অ্যালেক্স কার্লাইল কীভাবে নয়াদিল্লি পৌঁছেছিলেন তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। ভারতের অনলাইন ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসে গতকাল রবিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যালেক্স কার্লাইল ভারতে এসে সংবাদ সম্মেলনের পরিকল্পনা যখন করেছিলেন, তখনই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনকে একটি নির্দেশনা পাঠায়। নির্দেশনায় বলা হয়, কার্লাইলকে ভারতে আসার ভিসা যেন দেওয়া না হয়। নয়াদিল্লি যখন লন্ডনে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করে ততক্ষণে কার্লাইলকে একটি ই-বিজনেস ভিসা দেওয়া হয়ে গেছে। এর ফলে দ্রুত কার্লাইলকে একটি ই-মেইল পাঠায় নয়াদিল্লি। কার্লাইলকে ই-মেইলে বলা হয়, তার ভিসা বাতিল করা হয়েছে।

কিন্তু সরকার থেকে বলা হচ্ছে, কার্লাইলকে পাঠানো ওই ই-মেইল বার্তা ভুল ঠিকানায় গেছে। বিষয়টি সম্পর্কে এয়ার ইন্ডিয়াও তেমন কিছু জানত না। লন্ডন ছাড়ার পরই এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, উড়োজাহাজে লর্ড কার্লাইল আছেন।

এ অবস্থায় নয়াদিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক বসে। বৈঠকে বিকল্প একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। যান্ত্রিক ত্রুটির অভিযোগে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটিকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় নামানোর কথাও ভাবা হয়। কিন্তু তা না করে এয়ার ইন্ডিয়ার (এআই) ১৬২ উড়োজাহাজকে দিক পরিবর্তন করে দিল্লি বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকেই কার্লাইলকে লন্ডনে ফেরত পাঠানো হয়। ওই সময় কার্লাইলকে নিয়ে ভারত সরকারের মধ্যে একটি অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম দিল্লিতে ছিলেন। তিনি দিল্লির হাইকমান্ডের কাছে আহ্বান জানান, অ্যালেক্স কার্লাইলকে যেন ভারতে ঢুকতে দেওয়া না হয়।

এর আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বিজেপিপন্থি একটি চিন্তক সংস্থা বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ও ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। তখন তারা কার্লাইলের সফর সম্পর্কে অবহিত করে।

কালের আলো/এমএ