তাপসের ‘ব্যারিস্টার’ হবার পেছনেও ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক

প্রকাশিতঃ 3:25 pm | October 24, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বললেন, ‘এটা পড়ে আয়’ : অ্যাটর্নি জেনারেল

শোক বার্তায় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যারিস্টার রফিক-উল হক দেশের আইনাঙ্গনের অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার কর্তব্য ও নিষ্ঠা দেশের প্রতিটি মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে।

শোকবার্তায় ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আইন অঙ্গনের একজন দিকপাল ছিলেন, তিনি আমাদের শিক্ষাগুরু ছিলেন।

আরও পড়ুন: ওয়ান ইলেভেন’র দুঃসময়ে দুই নেত্রীর আইনজীবী ছিলেন রফিক উল হক

জানা যায়, ২০০৭ এর ওয়ান ইলেভেনের আগে রাজনীতিতে কোন আলোচনাতেই ছিলেন না। সে সময় ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের চেম্বারে বসতেন ব্যারিস্টার তাপস। ব্যারিস্টার রফিকের জুনিয়র হিসেবে কাজ করতেন। তাপসের ‘ব্যারিস্টার’ হবার পেছনেও ছিলো ব্যারিস্টার রফিক উল হকের উৎসাহ।

আরও পড়ুন: একজন ‘জীবন্ত আইন ডিকশনারী’ ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ভূমিকা এবং সমর্থন নিয়েই গঠিত হয়েছিল ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের তত্বাবধায়ক সরকার। জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ তখন সেনা প্রধান। সুশীল সমাজের উৎসাহে তিনি ‘মাইনাস ফর্মূলা’ বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিলেন। মাইনাস ফর্মূলা অর্থাৎ প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতা শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে অবসরে পাঠানো। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এমনকি তারা যেন আইনী সহায়তা না পান সেজন্য তৎপর হন ওয়ান ইলেভেন সরকার। শেখ হাসিনার আইনজীবীরা, তার পক্ষে লড়তে অস্বীকৃতি জানান।

আরও পড়ুন: বনানীতে চিরনিদ্রায় শায়িত ব্যারিস্টার রফিক উল হক

এ সময় তরুন তাপস এগিয়ে আসেন। শেখ হাসিনার মামলা গুলো নিজের কাধে তুলে নেন। এসময় তাপসের পেছনে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক। তার উৎসাহ ও পরামর্শেই কাজ করেন তাপস। তাপসের রাজনীতিতে আসার ক্ষেত্রেও উৎসাহ দাতা ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক। সর্বশেষ, তাপস যখন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিলো তখনও তাকে স্বাগত: জানান ব্যারিস্টার রফিক।

কালের আলো/এসবি/এমএম