এশিয়া কাপে আগের সূচিতেই খেলতে হবে ভারতকে

প্রকাশিতঃ 10:33 pm | August 23, 2018

খেলা ডেস্ক, কালের আলো:

৫০ ওভারের দুইটি ম্যাচ পরপর দুই দিনে খেলতে হবে। তাও আবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো মরুভূমির দেশে। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েই এশিয়া কাপ শুরু করবে ভারত। প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতকে খেলতে হবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা একটি দলের বিপক্ষে। আর ১৯ তারিখে মাঠে নামতে হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে।

১৪তম এশিয়া কাপের সূচি প্রকাশ হওয়ার পরপরই ভারত আপত্তি জানায়। প্রথমাবস্থায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ভারতের আপত্তি আমলে নিলেও পরবর্তীতে জানিয়ে দিয়েছে, পরিবর্তন হবে না এই সূচি। নির্ধারিত সূচিতেই খেলবে হবে ভারতকে।

১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে এশিয়া কাপের। এই টুর্নামেন্টে পরপর দুইদিনই খেলতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। এসিসি আলোচনায় বসলেও তাতে ভারতের পক্ষে কোনো সুবিধা আসেনি, এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান নির্বাহী রাহুল জহুরি।

সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, সকল প্রস্তুতি আগেই সম্পন্ন হয়ে যাওয়াতে এখন আর টুর্নামেন্টের সূচিতে কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। তাই আগের সময়-সূচি অনুযায়ীই অনুষ্ঠিত হবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ব্যস্ত আছে ভারত। এই সিরিজ শেষ হবে ১১ সেপ্টেম্বর। সেখান থেকেই এশিয়া কাপে অংশ নিতে সরাসরি সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে যাবে বিরাট কোহলির দল।

ইংল্যান্ড সফরের ক্লান্তি নিয়েই এশিয়া কাপে যাবে দলটি। তাছাড়া দুবাইয়ের গরমে পরপর দুটি ম্যাচ খেলতে হবে ভারতকে। এমন সূচি দেখে খেপে যান ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দর শেবাগ। বলেন, ‘এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে এখন কেউ পরপর দু’দিন খেলে না। দুবাইয়ের গরমের মধ্যে খেলার যে সূচি করা হয়েছে, এটা ঠিক নয়।প্রয়োজনে আমরা এশিয়া কাপ খেলবো না।’

শেবাগের এমন মন্তব্যের পর আলোচনা শুরু করলেও ইতিবাচক কিছু শোনাতে পারেনি এসিসি। তবে এসিসির এই সিদ্ধান্তের পর ভারত কোনো মন্তব্য করেনি।

এবারের এশিয়া কাপে অংশ নেবে ছয়টি দল। দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দেশগুলো। গ্রুপ ‘এ’-তে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও কোয়ালিফাই পর্ব উত্তীর্ণ হয়ে আসা একটি দল। আরব আমিরাত, ওমান, সিঙ্গাপুর, নেপাল, মালয়েশিয়া, হংকংয়ের মধ্যে হবে কোয়ালিফাই পর্ব।
গ্রুপ ‘বি’-তে আছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান।

কালের আলো/ওএইচ