করোনাভাইরাসের আরও একটি নতুন ধরন শনাক্ত
প্রকাশিতঃ 10:17 am | December 24, 2020
ডেস্ক রিপোর্ট, কালের আলো:
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, যুক্তরাজ্যে নভেল করোনাভাইরাসের নতুন আরেকটি ধরন শনাক্ত করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের একাধিক স্থানে কঠোর কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাট হ্যানকক বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকাবাসীর দারুণ জিনোমিক সক্ষমতার কারণে আমরা যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের আরেকটি নতুন ধরন শনাক্ত করেছি। দুজনের শরীরে নতুন ধরনটি পাওয়া গেছে।’
ম্যাট হ্যানকক আরো বলেন, ‘যাদের শরীরে নতুন ধরনটি শনাক্ত করা হয়েছে, তারা কয়েক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যুক্তরাজ্যে এসেছে।’
যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে করোনার নতুন একটি ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য চেষ্টা করছে। নতুন ধরনের ওই করোনাভাইরাস গতানুগতিক ভাইরাসের চেয়ে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি সংক্রামক হয়ে উঠতে সক্ষম। এ নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। এর মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে করোনার আরেকটি ‘ভ্যারিয়েন্ট’ বা ধরন শনাক্তের কথা জানাল যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘(দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা) এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া খুব উদ্বেগজনক, কারণ এটি আরো বেশি সংক্রামক। এবং যা মনে হচ্ছে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট যুক্তরাজ্যে পাওয়া ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে আরো বেশি বিবর্তিত বা রূপান্তরিত হয়েছে।’
এদিকে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হ্যানকক। হ্যানকক আরো বলেন, যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের মধ্যে যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছে, তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
যুক্তরাজ্যে করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে শনিবার থেকে বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হ্যানকক বলেন, ‘আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জায়গায় মানুষের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। এ ছাড়া সংক্রমণ কম—এমন এলাকায়ও বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে সাংবাদিক হারু মুতাসা জানিয়েছেন, দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১০ হাজার জনের করোনা শনাক্ত করা হচ্ছে।
হারু মুতাসা আরো বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন ধরনের করোনাভাইরাস সম্পর্কে গত সপ্তাহেই যুক্তরাজ্যকে সতর্ক করেছিলেন তাঁরা।
কালের আলো/ডিএসবি