নির্ধারিত সময়েই ভ্যাকসিন পাওয়ার আশা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

প্রকাশিতঃ 3:09 pm | January 04, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, সিরামের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তা ব্যহত হবে না, ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। আমরা যোগাযোগ রাখছি। যে চুক্তি হয়েছে তা একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, তা মানার একটা বাধ্যবাধকতা আছে।

সোমবার(০৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে করোনার ভ্যাকসিনের নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

আগামী মাসের শুরুতে সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকেই বাংলাদেশের ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল। টিকার জন্য অগ্রিম হিসেবে ৬০০ কোটি টাকা সিরামের অ্যাকাউন্টে গতকাল রবিবার জমাও দেয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু পরদিনই টিকা রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার খবর আসে।

দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জাহিদ মালেক বলেন, সিরামের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তা ব্যহত হবে না, ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। আমরা যোগাযোগ রাখছি। যে চুক্তি হয়েছে তা একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, তা মানার একটা বাধ্যবাধকতা আছে ।

হঠাৎ করে ভ্যাকসিন রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যতটুকু জানেন আমিও ততটুকুই জানি। ভারত সরকারের সঙ্গে ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য চুক্তি করেছে অনেকগুলো দেশ। এটা সকলের জন্যই তারা এ কথাটি বলেছে। তবে আমাদের সঙ্গে যতটুকু কথা হয়েছে তাতে আমি বিষয়টি পজিটিভলি দেখছি।’

কবে নাগাদ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এই বিষয়টি এখনই বলতে পারবো না। আমাদেরকে আর একটু সময় দেন। আজকেই তো ভারতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানলাম। সঠিক তথ্য যখন পাবো আপনাদের জানিয়ে দেবো। এরই মধ্যে আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সেই বিষয়টি তো আমাদের হাতে আছেই। চায়না, রাশিয়ান ভ্যাকসিন আমাদের হাতেই আছে। এগুলো এখন বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। অনেক দেশের ভ্যাকসিন এখনো ট্রায়াল পর্যায়ে আছে। তাদেরও ট্রায়াল শেষ হয়নি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চীনের রাষ্ট্রদূত আমাকে চীনের ভ্যাকসিনের বিষয়ে জানিয়েছে। আমি তাদের কাছে বিস্তারিত কাগজ চেয়েছি। সেগুলো দিলে পরে বুঝা যাবে। চীন বাংলাদেশে ট্রায়াল করতে চায়। কিন্তু ট্রায়াল করার মতো সময় নেই। ট্রায়াল প্রসেস একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং তারপর অবজারভেশনে থাকতে হয়। তারপর ভ্যাকসিন তাদের দেশে অনুমোদন হবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা অনুমোদন দিবে, বাংলাদেশ অনুমোদন দিবে। এই প্রক্রিয়াটি চলমান আছে। তবে একটু সময় লাগবে।

দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় হঠাৎ করে রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। সেখানে আপনি কিভাবে আশ্বস্ত হচ্ছেন সঠিক সময়ে ভারত থেকে ভ্যাকসিন পাবেন। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আশ্বস্ত হচ্ছি এই কারণে যে বিভিন্ন পর্যায়ে আজকে আলোচনা হয়েছে। তাতে আমরা নিরাশ হইনি। এজন্য আমি আস্বস্ত হচ্ছি। এরপরে আবার যখন পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে পারবো তখনই আপনাদের জানাবো। তবে এখন এইটুকুই বলেছি আমরা নিরাশ হচ্ছি না। তাদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন আমরা পাবো।’

ভারত কী বলেছে এমন এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘দূতাবাসের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা কেউ নেগেটিভ কথা বলেনি। চুক্তি অনুযায়ী আমরা পাব বলে তারা আশ্বস্ত করেছে।’

কালের আলো/ডিএসবি/এনএল