ছেংগারচরকে ‘জনগণের পৌরসভা’ গড়ে তোলার স্বপ্ন আ.লীগ নেতা আনিস আহমেদের

প্রকাশিতঃ 9:46 pm | January 05, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

রাজধানীর রাজনীতির ‘আঁতুড়ঘর’ মোহাম্মদপুরে তার পরিবারকে সবাই চিনেন ‘আওয়ামী পরিবার’ হিসেবেই। রক্তঝরা শোকাবহ ১৫ আগস্টে যারা ইতিহাসের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিলেন, তাদের হাতেই শাহাদাতবরণ করতে হয়েছিল নিজের আদুরে ছোট ভাই সাঈদ আহমেদ টিপুকে।

আরও পড়ুন: শীতার্তদের উষ্ণতার ছোঁয়া ছেংগারচরের পৌর মেয়র প্রার্থী আনিসের

বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল এ খুনির দলই। সেই সময় ঐতিহাসিক ধানমন্ডির ৩২ নম্বরকে নিজেদের শিরদাঁড়া সোজা করে, জীবনবাজি রেখে সুরক্ষিত ও নিরাপদ করতেন আনিস-টিপুর রক্তের সহোদররাই। কতো কঠিন চ্যালেঞ্জ, প্রতি মুহুর্তেই যেন মৃত্যুকে আলিঙ্গণ করার প্রস্তুতি!

এই পরিবারটিরই সন্তান আপাদমস্তক আওয়ামী লীগার আনিস আহমেদ জোর কদমে পথচলা শুরু করেছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরবাসীর নাগরিক সমস্যা সমাধানের মহান এক ব্রত নিয়ে। এখানকার কাদামাটিতে বেড়ে উঠে জীবনের এ মাহেন্দ্রক্ষণে ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার সমন্বয়ে ছেংগারচর পৌরসভাকে গড়ে তুলতে চান।

আনিস আহমেদের সন্তান আসিফ আহমেদ গত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থনে বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন পেলে জনগণের রায় নিয়ে ভোটে নির্বাচিত হলে এ পৌরসভাটিকে রূপ দিতে চান ‘জনগণের পৌরসভা’ হিসেবেই। আর এ লক্ষ্যপূরণে স্থানীয় জনসাধারণ ও দলীয় নেতা-কর্মীর মনজয় করতেই নিবিষ্ট মনে বহুমাত্রিক কর্মযজ্ঞে মিলিত হচ্ছেন রোজকার সময়।

শীতার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন মানবিক হৃদয় নিয়ে। সামাজিক-সাংস্কৃতিকসহ সব অনুষ্ঠানেই ছুটে যাচ্ছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে নিজের পক্ষে ভোট চাওয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৎ, দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের এগিয়ে চলাকে।

বহুদিন পর ছেংগারচরের আওয়ামী লীগ নিজেদের মনের মতো একজন প্রার্থীকেই ‘নেতা’ হিসেবে পেয়েছেন, এমন মত তৃণমূলের। আসন্ন পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড আনিস আহমেদের হাতে নৌকা তুলে দিলে এখানে বিজয় সুনিশ্চিত এমন আওয়াজ ভেসে বেড়াচ্ছে অবহেলিত ছেংগারচরের পৌর শহরের পাড়া-মহল্লায়, বাড়িতে বাড়িতে।

ভোটের তফসিল ঘোষণা না হলেও ব্যস্ততার কমতি নেই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আনিস আহমেদের। বয়সকে হার মানিয়ে প্রাণোচ্ছ্বল তারুণ্যের মতোই যাপিত জীবনের সব ব্যস্ততার মাঝেও কথা বলেছেন কালের আলো’র প্রতিনিধির সঙ্গে। তাঁর সাক্ষাতকারের অংশবিশেষ এখানে উপস্থাপন করা হলো।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নের বিষয়তে আপনি কতটুকু আশাবাদী?
প্রথমেই বলতে চাই, আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়নের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী। এ প্রসঙ্গে আমি বলতে চাই, স্থানীয় এলাকাবাসী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের অনুরোধেই আমি ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে রয়েছি। মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার আগেও আমি দীর্ঘদিন যাবত এলাকার মানুষের পাশে রয়েছি। গত কয়েক দশক থেকে আমার পরিবারের প্রতিটি সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন দূরদর্শীসম্পন্ন তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী একজন বিশ্বনেতা। গত এক যুগে তাঁর দক্ষ ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে নতুন এক বাংলাদেশকে দেখেছে বিশ্ব। রাষ্ট্র পরিচালনার শত ব্যস্ততার মাঝেও তৃণমূলের সব খবরাখবর তিনি রাখেন এবং তৃণমূলকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। আমি আশাবাদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন। আমি মনোনয়ন পেলে ছেংগার পৌরসভায় নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই।

নির্বাচিত হলে ছেংগারচর পৌরসভাকে নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
আমি জনবান্ধব ও আধুনিক ছেংগারচর পৌরসভা গড়ে তুলতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করবো। সাধারণ নাগরিকদের মতামতকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কর্ম পরিকল্পনা সাজানো হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমি নির্বাচিত হলে ছেংগারচর পৌরভবনটি হবে জনগণের।

উন্নয়ন ধারাকে অব্যাহত রাখতে দুর্নীতি দূর করতে আপনার ভূমিকা কেমন হবে?
আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে ছেংগারচর পৌরসভাকে দুর্নীতি ও দখলমুক্ত রাখা। সাধারণ মানুষের চাহিদার আলোকেই সেবা নিশ্চিত করবো। এক্ষেত্রে নাগরিকদের মতামতকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। আমি সবাইকে সঙ্গে নিয়েই পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব, আলোকিত, উন্নত নাগরিক জীবন নিশ্চিত করতে চাই।

কি কারণে মেয়র হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন?
আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে অনেক আগে থেকেই সম্পৃক্ত। সেই গতিধারায় নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন আমার আরও আগের। কারণ এককভাবে এক-দুইজনকে সহযোগিতা করা যায়। কিন্তু একটি গোষ্ঠী বা একটি বৃহত্তর জনপদের সেবায় কাজ করতে হলে নেতৃত্ব প্রয়োজন। তৃণমূলে কাজ করে সে ভালোবাসা আমি সব সময় পেয়ে এসেছি। এই পৌরসভার সন্তান হিসেবে ছেংগারচর পৌরবাসীর সুখে-দুঃখে সর্বদা পাশে থেকেছি। এখানকার পৌর বাসিন্দাদের ভালোবাসা ও ভোটে আমি মেয়র নির্বাচিত হতে চাই।

কালের আলো/এমএইচ/এমএ