রোহিঙ্গাদের শিবিরে ডায়রিয়া রোধে উদ্যোগ

প্রকাশিতঃ 10:22 pm | October 04, 2017

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চিকিৎসায় বিশেষ করে তাদের মাঝে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব রোধে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য অংশিদাররা একত্রে কাজ করছে।

দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের কুতুপালং ক্যাম্পে ইতোমধ্যে ২০ শয্যার ডায়রিয়া চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

এই কেন্দ্র পরিচালনায় ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীনে দেশি ও বিদেশি বেসরকারি সাহায্য সংস্থাগুলোকে একত্রিত করেছে। ইউএনএইচসিআর’র মুখপাত্র আন্দ্রের্জ মাহেসিক জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে ডায়রিয়া চিকিৎসার জন্য ৩টি স্থানে মোট ৮০টি বেড হবে। পরবর্তী সপ্তাহে আরো ৩টি কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া কুতুপালংয়ের ২ হাজার একর বর্ধিত এলাকায় চলতি সপ্তাহে ওর্যাল রিহাইড্রেশন কর্নারসহ মেডিকেল কন্সাল্টেশন সেন্টার খোলারও পরিকল্পনা রয়েছে।’

গত ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৫ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গার অনেকের অবস্থান এই এলাকায় এবং তারা সহায়তার জন্য ভীড় করছে। তাদের প্রয়োজনে স্বাস্থ্য সেবার এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ সংস্থাটি রোহিঙ্গাদের কলেরার টিকা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে সহায়তা দিচ্ছে।

সংস্থাটি বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব, মারাত্মক অসুস্থতা ও অনাকাঙ্খিত মৃত্যু রোধে অংশিদারদের সহায়তায় এ পর্যন্ত ৩২টি স্যালো টিউবওয়েল ও ২৫০টি ল্যাট্রিন স্থাপন করেছে।

ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের মাঝে দ্রুত সাহায্য পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সরকারের রিফিউজি রিলিফ এ্যান্ড রিপার্টিএ্যাশন কমিশনের (আরআরআরসি) সঙ্গে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের তালিকা প্রণয়ন ও তাদের চাহিদা নির্ধারণে কাজ করছে। প্রত্যেক পরিবারকে আরআরআরসি’র লোগো সম্বলিত কার্ড দেওয়া হবে।