রিজার্ভ চুরিতে জরিত উত্তর কোরিয়ান হ্যাকার
প্রকাশিতঃ 2:50 pm | September 07, 2018
কালের আলো ডেস্ক:
বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরিতে জড়িত উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারের নাম প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পার্ক জিউন হিউক নামে ওই হ্যাকারের বিরুদ্ধে সনি পিকচার্স এন্টারটেইনমেন্ট এবং যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগে সাইবার হামলার দায়ে অভিযোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।
মার্কিন বিচার বিভাগের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জন ডেমারস জানিয়েছেন, বিচার বিভাগের জন্য এই তদন্ত ছিল অত্যন্ত জটিল প্রকৃতির। ২০১৪ সালে সনি পিকচার্সে সাইবার হামলার মূল কারিগর ছিলেন পার্ক জিউন হিউক। একইসঙ্গে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরিতেও মূল প্রোগ্রামারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন ধরেই দাবি করে আসছে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররাই সাইবার হামলার জন্য দায়ী। সনি পিকচার্সে সাইবার হামলা চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে দেয়া হয়।
গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, তারা কম্পিউটার ইন্টারনেট অ্যাড্রেস এবং হ্যাকিং টুলস নিয়ে অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছে যে, এরা উত্তর কোরিয়ার হ্যাকার। আর এদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া সরকারের যোগাযোগ রয়েছে। তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হচ্ছে সেই পার্ক জিউন হিউককে উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া রিজার্ভের টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে নিউ ইয়র্কের আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি জানান, মামলার প্রস্তুতি হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ল ফার্মকে মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেয়া হবে। সূত্র জানায়, চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করা হবে। যেহেতু জানুয়ারির মধ্যেই মামলা করতে হবে সেজন্য নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক সব কাজ সম্পন্ন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষের বিষয়গুলো দেখভাল করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি করে নেয় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কা এবং ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে। এ ঘটনার প্রায় একমাস পর ফিলিপাইনের একটি পত্রিকার সংবাদের মাধ্যমে বিষয়টি বাংলাদেশ জানতে পারে।
কালের আলো/ইজা/এমএইচ