সত্য-সুন্দর ধ্বনিতে শিশুদের মনে একাত্তরের বিজয়গাঁথা এঁকে দিলেন জীশান মির্জা

প্রকাশিতঃ 1:53 pm | March 11, 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :

টুঙ্গিপাড়ার ছোট্ট খোকা থেকে জাতির পিতা। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বীরত্ব, ত্যাগ, বিজয়ের আলেখ্য আর বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরম্পরা নিয়ে প্রগাঢ় তাৎপর্যময় সব উচ্চারণ। জীশান মির্জার চোখে তখন কেবলই একাত্তর।

জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা আর একটি স্বাধীন দেশ উপহার দেওয়া বাঙালি জাতির মহত্তম নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মানব কল্যাণের রাজনীতির পাঠ-গভীর মমতায় কোমলমতি শিশুদের মন-মননেই যেন গেঁথে দিলেন তিনি।

পুলিশ নারী কল্যাণ (পুনাক) সমিতির সভানেত্রী, আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদ পত্নী শোনালেন পাকিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন, আলোকিত নেতৃত্ব আর বিপথগামীদের হাতে তার সপরিবারের হত্যার শোকগাঁথা।

প্রতিটি শিশুকে আত্নসম্মানবোধ নিয়ে বেড়ে উঠার জন্যই গল্পের আঙ্গিকে প্রকৃত ইতিহাসকে উপস্থাপন করলেন। কোলমতিদের আগ্রহ, আবেগ এবং অনুভূতির প্রশ্নসমূহের পুঙ্খানুপুঙ্খ উত্তর দিলেন।

শিশুদের মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতেই বৈচিত্র্যপূর্ণ ও ভিন্নধর্মী এমনই এক আয়োজন করেছে পুলিশ নারী কল্যাণ (পুনাক) সমিতি।

বুধবার (১০ মার্চ) সকাল ১১টায় রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশ পরিবারের শিশু কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে গভীর মমত্ববোধের মাধ্যমেই সৃজনশীলতা, মেধা ও মননশীলতার সত্য-সুন্দর ধ্বনি উচ্চকিত করেছেন পুনাক সভানেত্রী।

পুনাক সূত্র জানায়, বাঙালির চিরায়ত অহঙ্কার মহান মুক্তিযুদ্ধ নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছেই অনেকটা গল্পের মতোই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শুধু ইতিহাস বা গল্প নয়।

মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির আপন সত্তা। আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ তাই মুক্তিযুদ্ধ, দেশ ও জাতীয় দিবস সম্পর্কে সঠিক শিক্ষায় পুলিশ পরিবারের প্রতিটি শিশুকে শিক্ষিত করে তোলতেই বেশ গুরুত্ব দিয়েছে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি।

পুনাক সভানেত্রী জীশান মির্জা মনে করেন, ‘পুলিশ পরিবারের শিশুদের মধ্যে ছোট থেকেই জাতীয়বোধ, দেশাত্মবোধ তৈরি করতে হলে ওদের শেখাতে হবে আমাদের সঠিক ইতিহাস। তাদের মধ্যে বুনে দিতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবোধের বীজ।

ছোটবেলা থেকে শিশুকে যে শিক্ষা দেওয়া হয় তার ওপর ভিত্তি করেই গড়ে ওঠে শিশুর মানসিকতা। তাই শিশুদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনায় গড়ে তুলতে হবে।’

নিজেকে চেতনা ও বিবেকের পাটাতনে উপস্থাপন করা জীশান মির্জা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্য বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেছেন অনেক আগেই। আত্নমর্যাদার দ্যুতিতে প্রোজ্জ্বল করেছেন নিজেকে।

বিনয়, আচরণ, বাগ্মীতা, অজানাকে জানা আর জ্ঞানের গভীরে তুমুল সাঁতার কাটা মিসেস বেনজীর গভীর দেশপ্রেমেই নিজেকে নির্মাণ করেছেন প্রতিনিয়ত।  

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, পুনাক সভানেত্রী জীশান মির্জা শিশু কিশোরদের নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের বীরত্বের গল্পও শোনান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

কালের আলো/এমএএএমকে