ময়মনসিংহের সঙ্গে আত্নিক বাঁধনের কথা বললেন সেনা প্রধান

প্রকাশিতঃ 6:25 pm | January 11, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

ময়মনসিংহের জামালপুরেই শৈশব জীবন কেটেছে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকের। বাবার চাকরির সুবাধে অনেকদিন থেকেছেন জামালপুরে ব্রক্ষপুত্র নদঘেষা বকুলতলায়। সেই স্মৃতিরোমন্থনে আপ্লুত হলেন তিনি। তাঁর এমন মধুর স্মৃতিচারণ মুগ্ধ করলো সবাইকে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় যুব গেমসের বিভাগীয় পর্যায়ের অ্যাথলেটিক্স ও কাবাডি প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তাঁর স্মৃতিপটে ময়মনসিংহ বিভাগের উজ্জ্বল উপস্থিতিই টেনে আনলেন।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ যুব গেমসে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজের উচ্ছ্বাসের কথাও বললেন সেনা প্রধান। ময়মনসিংহের জামালপুরে নিজের শৈশব জীবনেরও স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগের সঙ্গে আমার আত্নিক সম্পর্ক রয়েছে।

ষাটের দশকে আমি জামালপুরে অনেক দিন ছিলাম। আমার বাবা সেখানে চাকরি করতেন। ব্রক্ষপুত্র নদের তীরে বকুলতলায় আমরা থাকতাম।’

এমন একদিনে ময়মনসিংহে সেনা প্রধান উপস্থিত হলেন যেদিন কাবাডি প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হলো ময়মনসিংহ ও জামালপুর। সেই কথাই নিজের জবানীতে উচ্চারণ করলেন জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। ‘কাবাডি প্রতিযোগিতায় আজ ময়মনসিংহ ও জামালপুরের খেলা হলো।

এ খেলা উপভোগ করতে গিয়ে আমি যেন ঠিক শৈশবেই ফিরে গেলাম। শৈশবের দিনগুলোর কথা আমার ভীষণ মনে পড়ছিল।’ মুহুর্তেই ঝাপসা হয়ে আসলো সেনা প্রধানের চোখ। স্পষ্ট উচ্চারণে নিজের ফেলে আসা শৈশবের স্মৃতিই যেন তাঁর চোখের সামনে বার বার ভেসে আসছিলো।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাইল ক্যান্টনম্যান্টের জিওসি মেজর জেনারেল সাজ্জাদুল হক, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক (ডিসি) খলিলুর রহমান, পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ড.আক্কাছ উদ্দিন ভূঞা, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু, মহানগর আ’লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নূরে আলমসহ ময়মনসিংহ ক্যান্টনম্যান্টের সিনিয়র কর্মকর্তাসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে সেনা প্রধান অ্যাথলেটিক্স ও কাবাডি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।