‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা’র উদ্বোধন হচ্ছে বৃহস্পতিবার

প্রকাশিতঃ 2:51 pm | September 12, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

দেশের সবচেয়ে পুরাতন পাঁচ তারকা হোটেল ‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা’ এর উদ্বোধন হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে হোটেলের উদ্বোধন করবেন।

৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় চার বছর ধরে হোটেলের সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। প্রথমে এর সংস্কার কাজের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৪৪ কোটি টাকা, পরবর্তীতে এর বাজেট বাড়ানো হয়। সংস্কার চলাকালে হোটেলের অপারেশন পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এর আগে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অভিজাত এই হোটেলটি এর আগে ‘রূপসী বাংলা’ পরিচালিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেও হোটেলের অপারেশন শুরু হতে আরো প্রায় তিন মাস সময় লাগবে। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোটেলের বলরুমে বক্তব্য রাখবেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে হোটেলের নিরাপত্তাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল হোটেল চেইন ইন্টারকন্টিনেন্টাল রূপসী বাংলা হোটেল ৩০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে। এর মাধ্যমে ৩০ বছর পর ঢাকায় আবার ফিরে আসছে ইন্টারন্যাশনাল হোটেল চেইন ইন্টারকন্টিনেন্টাল। ইন্টারকন্টিনেন্টাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৭০টি হোটেল পরিচালনা করছে।

সংস্কার শেষে নতুন চেহারা পেয়েছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল। হোটেল সূত্রে জানা গেছে, আগের চেয়ে বড় পরিসরের কক্ষে হোটেলে রাত্রীযাপন হবে অনেক বেশি আরামদায়ক। বর্তমানের হোটেল কক্ষের আয়তন ৪০ বর্গমিটার। কক্ষের আয়তন বাড়াতে গিয়ে হোটেল মোট কক্ষ সংখ্যা ২৭২টি থেকে ২২৬ নামিয়ে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১টি এক্সিকিউটিভ কক্ষ, পাঁচটি সুপিরিয়র স্যুইট, ১০টি ডিলাক্স স্যুইট, পাঁচটি ডিপ্লোম্যাটিক স্যুইট এবং পাঁচটি প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট থাকছে। প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটের আয়তন ১৫০ বর্গমিটার।

আনুষ্ঠানিকভাবে হোটেলের কোনো কর্মকর্তা কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এর আগে হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) জেমস পি. ম্যাকডোনাল্ড এ প্রতিবেদককে বলেছিলেন, ‘সর্বশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার, আধুনিক আসবাবপত্র, বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড, অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং দীর্ঘ আতিথেয়তা পরিসেবা উত্তরাধিকার ইন্টানকন্টিনেন্টালকে করবে ব্যবসায়ী এবং অবকাশ ভ্রমনকারীদের জন্য হবে কাঙ্খিত গন্তব্য।”

বাংলাদেশে ২৭ বছর হোটেল পরিচালনা শেষে শেরাটন ২০১০ সালের ১ মে বিএসএলকে হোটেলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যায়। এরপর হোটেলটির মালিক বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড (বিএসএল) ‘রূপসী বাংলা’ নামে হোটেলটি পরিচালনা করে আসছিল। সংস্কারের উদ্দেশ্যে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে হোটেলটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কালের আলো/ওএইচ