শেয়ারবাজারে ফের ২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন

প্রকাশিতঃ 5:29 pm | May 19, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

টানা তৃতীয় দিন দর হারাল বেশিরভাগ শেয়ার। কিন্তু বাজার মূল্য সূচক ও লেনদেনে ঊর্ধ্বধারা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে বুধবার (১৯ মে) লেনদেন আবারও ২ হাজার কোটি টাকার মাইলফলক ছাড়িয়েছে।

বুধবার (১৯ মে) শতভাগ ব্যাংকের শেয়ারের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে দাম বৃদ্ধির ফলে বিক্রেতা শূন্য হয়েছি (হল্টেড) এনআরবিসি ব্যাংক এবং এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সাড়ে তিন ঘণ্টার লেনদেনে ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। পরের ক্লোজিং সেশনের ১০ মিনিটের তা বেড়ে ২ হাজার ৯৯ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যা গত চার মাসের সর্বোচ্চ। এর আগে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ঢাকার এ শেয়ারবাজারে ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল।

একই সঙ্গে প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্সও আজ ৪৩.৯০ পয়েন্ট বেড়ে উঠেছে ৫৮৭৩ পয়েন্টে। সূচক ও লেনদেনে ঊর্ধ্বগতি বজায় থাকলেও টানা তিন দিন ধরে কমছে বেশিরভাগ শেয়ারের দর। এই তিন দিনে মূলত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমা খাতের শেয়ারদর ও লেনদেন বেড়েছে। বাকি সব খাতে রয়েছে বিপরীত ধারা।

বুধবার (১৯ মে) ডিএসইতে ১৩২ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে, যেখানে দর হারিয়েছে ১৭৬টি এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৫৬টির দর। দ্বিতীয় শেয়ারবাজার সিএসইতে ১২৬ শেয়ার ও ফান্ডের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৪৪টির দর কমেছে। এ বাজারে কেনাবেচা হয়েছে ১৩২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার।

ডিএসইর খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ব্যাংক খাতের ৩১ কোম্পানির মধ্যে ৩০টির লেনদেন হয়েছে, যার সবগুলোরই বাজারদর বেড়েছে। সব শেয়ারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় খাতটির বাজার মূলধন বেড়েছে ২.৯৫ শতাংশ।

তবে বীমা খাতের শেয়ারদরে কিছুটা মিশ্রধারা দেখা গেছে। খাতটির ৫০ কোম্পানির মধ্যে আজ ৪৯টির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যার ২৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ২০টির। মিশ্রধারা ছিল মিউচুয়াল ফান্ড খাতেও। ১২টি ফান্ডের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৩টির দর কমেছে, অপরিবর্তিত ১১টির দর।

খাতওয়ারি লেনদেনে বরাবরের মত বীমাই সবার ওপরে আছে। এ খাতের ৪৬৫ কোটি টাকার (ব্লক ছাড়া) শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২.৩০ শতাংশ। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে ব্যাংক। মঙ্গলবার এ খাতের ৩৩৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হলেও বুধবার তা বেড়ে ৪৫৮ কোটি টাকায় উঠেছে, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১.৯৪ শতাংশ।

দরবৃদ্ধির তালিকায় এর পরের কোম্পানিগুলো হলো- দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স (৪৬.৫০ টাকা), সাউথইস্ট ব্যাংক (১৫.৫০ টাকা), জেনেক্স ইনফোসিস (৭১.২০ টাকা), খুলনা পাওয়ার (৪২.৩০ টাকা), ন্যাশনাল হাউজিং (৪১.৩০ টাকা), এনসিসি ব্যাংক (১৬.৯০ টাকা), ই-জেনারেশন (৫৫.৯০ টাকা), প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স (৬২.৫০ টাকা) এবং মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স (৭৪.৫০ টাকা)।

একক কোম্পানি হিসেবে দরপতনের শীর্ষে ছিল কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স। বীমা কোম্পানিটির শেয়ার সাড়ে ৯ শতাংশ দর হারিয়ে সর্বশেষ ৫৫ টাকা ৪০ পয়সা দরে কেনাবেচা হয়েছে।

দরপতনে এর পরের অবস্থানে থাকা ক্রীস্টাল ইন্স্যুরেন্স পৌনে ৬ শতাংশ দর হারিয়ে কেনাবেচা হয়েছে ৬৩.৯০ টাকায়। ৫ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে দরপতনের শীর্ষ তালিকায় ছিল ঢাকা ডাইং (১৩.২০ টাকা), রানার অটোমোবাইলস (৫২ টাকা), এশিয়া ইন্স্যুরেন্স (১০০.২০ টাকা), ঢাকা ইন্স্যুরেন্স (৭৪.৯০ টাকা) এবং অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স (৫৩.৮০ টাকা)।

গত কয়েক মাস একক কোম্পানি হিসেবে লেনদেনের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসইতে এ কোম্পানির (ব্লক ছাড়া) ১৭৬ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। ৩ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে শেয়ারটি সর্বশেষ ৮৯ টাকা ২০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে।

কালের আলো/আরএস/এমএইচএস