বাস্তবায়ন হচ্ছে ঢাকা-সিলেট চার লেন

প্রকাশিতঃ 12:08 pm | June 10, 2021

জ্যেষ্ঠ সংবাদদাতা, কালের আলো:

ঢাকা-সিলেট চার লেন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ২১০ কিলোমিটার এ মহাসড়ক উন্নয়নের কাজ ১৩টি অংশে ভাগ করে করা হবে। এরই মধ্যে একটি অংশের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। অচিরেই বাকিং অংশের কাজও শুরু হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পের অধীনে ঢাকার কাঁচপুর থেকে নরসিংদীর বিসিক পর্যন্ত আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। ভবিষ্যতে অন্য অংশের কাজের জন্যও দরপত্র আহ্বান করা হবে।
জানা যায়, প্রায় ১৬ হাজার ৯১৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক- এডিবি। বাকি অর্থের জোগান হবে সরকার।

এ বিষয়ে সওজ অধিদপ্তর ও এডিবির মধ্যে ঋণচুক্তির প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ঠিকাদার নিয়োগের জন্য নথিপত্র এডিবির ম্যানিলার প্রধান দপ্তরে পাঠানোর পর সংস্থাটির অনুমোদন নিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে।

সূত্র বলছে, প্রথমে প্রকল্পের ভৌত কাজ শুরু হবে। এজন্য ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেটে অধিগ্রহণের কাজ চলছে।

তবে, সিলেট ও হবিগঞ্জে কিছু জটিলতার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কর্মকর্তারা বলছেন, এ জটিলতায় ঢাকা-সিলেট চার লেন প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে। এতে ব্যয়ও বেড়েছে। ২০১৭ সালে চীনা প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পে অর্থ সহায়তা দিতে চেয়েছিল। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। ওই সশয় শর্ত না মানায় প্রকল্পও বাস্তবায়ন হয়নি। তাই এটি এডিবির সহায়তায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়াল প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা।

জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি একনেকে প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায় ১১ মার্চ।

এরপরই কাঁচপুর থেকে ছনপাড়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার এবং ছনপাড়া থেকে নরসিংদীর বিসিক পর্যন্ত (১৮ থেকে ৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত) অংশের কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। আসছে অর্থবছর থেকে বরাদ্দ মিলবে।

প্রকল্পটি ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। চার লেনের এই সড়কে আলাদা সার্ভিস লেন থাকবে। ছোট-বড় সেতু থাকবে ৭০টি। পাঁচটি রেলওয়ে ওভারপাসও থাকবে এই সড়কে।

প্রকল্পের উপ-পরিচালক রোকনুজ্জামান জানান, বিদ্যমান মূল সড়কের উভয় পাশে ধীরগতির যান চলাচলের জন্য আলাদা সার্ভিস লেন থাকবে। ৮০ কিলোমিটার গতিতে সড়কে যান চলাচল করতে পারবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এশীয় মহাসড়ক, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) করিডর, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) করিডরসহ আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

কালের আলো/এমএম/এমআরজে