মোসাদ্দেক-সামিয়াকে ‘এক’ করতে সমঝোতার উদ্যোগ : ২ অক্টোবর বৈঠক

প্রকাশিতঃ 9:41 pm | September 23, 2018

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও স্ত্রী সামিয়া শারমিন উষার বিচ্ছেদ চায় না জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। তাদের দু’জনের সম্পর্ককে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে চায় অধিদপ্তরটি। এজন্য আগামী মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে তাদের ডাকা হচ্ছে।

ময়মনসিংহ জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহজাদী বলেন, ঘোষণা অনুযায়ী তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার জন্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) নোটিশ প্রস্তুত করা হয়েছে। সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মোসাদ্দেক ও সামিয়ার বাসার উদ্দেশ্যে তাদের নিজ নিজ নামে এই রেজিষ্ট্রি চিঠি পাঠানো হবে।

এরপর বৈঠকে উপস্থিত হয়ে তাঁরা সমঝোতায় রাজি না হলে তবেই তাদের বাসায় স্বশরীরে হাজির হয়ে তদন্ত কার্যক্রম চালানো হবে। ওই সময় প্রয়োজনীয় স্বাক্ষীদের সঙ্গেও কথা বলে আদালতে নির্ধারিত সময়েই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন প্রণয়ের পর পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ের পর সংসার পাতেন মোসাদ্দেক ও সামিয়া। এরপর গত রোববার (২৬ আগষ্ট) দুপুরে সদর আমলী আদালতের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রোজিনা খানের আদালতে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রী সামিয়া শারমিন উষা মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি গ্রহণ না করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। গত বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তদন্ত করতে আদালতের নির্দেশনার চিঠি হাতে পায় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে আদালত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

ডিভোর্স ও যৌতুকের মামলার বিষয়ে মোসাদ্দেক ও তাঁর স্ত্রী সামিয়া দু’জন নিজেদের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। একজন আরেকজনকে দোষারোপ করেছেন। তবে প্রত্যেকের অনুকূলেই রয়েছে নিজ নিজ পরিবার। সামিয়া সংসার করতে চাইলেও মোসাদ্দেক রয়েছেন পয়েন্ট অব নো রিটার্নে। ফলে শেষ পর্যন্ত জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের এমন উদ্যোগ কতটুকু ফলপ্রসু হবে এই নিয়েও চলছে জল্পনা।

জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহজাদী বলেন, আমরা যেহেতু দু’পক্ষের সমঝোতা করে দিতে চাই এজন্যই প্রথমে তাদের দু’জনকে অফিসে ডাকছি। এরপরও তারা এক হতে না চাইলে আমরা দু’জনের বাড়িতে গিয়ে তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলবো। এবং প্রয়োজনীয় স্বাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলবো। পরে সেই মোতাবেক তদন্ত রিপোর্ট আদালতের কাছে পাঠানো হবে।

কালের আলো/এএম/এমএইচএ