মুজিববর্ষে পরিবেশ রক্ষায় উদ্যোগী সেনাবাহিনী, দু’লক্ষাধিক বৃক্ষ রোপণের টার্গেট

প্রকাশিতঃ 9:21 pm | July 08, 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :

‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই…’ বিখ্যাত এই গানের আকুতির মতোই ইতিহাসের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহাদাত বরণ না করলে এই বছর শতবর্ষী হতেন। আদর্শ ও অনুপ্রেরণায় বাঙালির মননে গেঁথে আছে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির অবিসংবাদিত এই নেতার নাম।

জাতির চির আরাধ্য পুরুষের জন্মশতবর্ষে দেশের বনজ সম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় উদ্যোগী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দেশবাসীকে গাছ লাগানোর প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দেওয়ার পাশাপাশি মুজিববর্ষে পরিবেশ রক্ষায় সারা দেশে প্রায় দু’ লক্ষাধিক বৃক্ষ রোপণের টার্গেট নিয়েছে দেশপ্রেমিক এই বাহিনীটি। প্রতিপাদ্যও নির্ধারণ করেছে ‘মুজিব বর্ষে বৃক্ষরোপণ, সোনার বাংলার স্বপ্ন বপন’।

বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মোস্তফা কামাল লাইন এলাকায় একটি সৌন্দর্য্যবর্ধক ক্যাসিয়া জাভানিকা গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে নিজেই পরিচর্যার অংশ হিসেবে নতুন বৃক্ষে মাটি ও পানি দেন।

এর মাধ্যমে ঢাকা সেনানিবাসসহ দেশের সব সেনানিবাস, ডিওএইচএস ও জলসিঁড়ি প্রকল্পে ভিডিও টেলি কনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে একযোগে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান।

শুধু গাছ লাগানোতেই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না, পরিপূর্ণভাবে গাছের যত্নও নিতে হবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের এমন নির্দেশনাও দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সহজ মাধ্যম হচ্ছে বৃক্ষরোপণ। এই বৃক্ষরোপণ অভিযানে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ফলজ, বনজ ও ঔষধি প্রজাতির বৃক্ষসহ সৌন্দর্য্যবর্ধক বিভিন্ন প্রকার গাছের চারা রোপণ করবে সেনা সদস্যরা। দেশের সব সেনানিবাস, স্বর্ণদ্বীপসহ সকল প্রশিক্ষণ এলাকা ও ফায়ারিং রেঞ্জ, সকল ডিওএইচএস এবং জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পে এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচি চলবে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত।

আইএসপিআর আরও জানায়, এ বছর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রায় দুই লক্ষ বৃক্ষ রোপণ করা হবে। দেশের বনজ সম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণকে বিশেষ অর্থবহ করে তুলতে সকলকে স্বপ্রণোদিত হয়ে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করাই এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্দেশ্যে।

সূত্র জানায়, দেশের সংগ্রামশীল জাতিসত্ত্বার দু:সময়ের সাথী হয়ে ত্যাগ ও বিশ্বস্ততার দৃষ্টান্ত স্থাপনের পাশাপাশি যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলা, দেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান অব্যাহত রেখেছে গৌরবদীপ্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

চলমান করোনা দু:সময়ে নানামুখী কর্মকান্ডের মাধ্যমে তারা মানবিকতার অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। দেশের ক্রান্তিকালে তাদের অবদান ইতিহাসে অমর, অব্যয় হয়েই ঠাঁই নিয়েছে।

কালের আলো/আরআই/এমএএএমকে