রাশিয়া সফরে সৌদি বাদশাহ

প্রকাশিতঃ 10:41 pm | October 04, 2017

রাষ্ট্রীয় সফরের অংশ হিসেবে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে বুধবার সৌদি আরব ত্যাগ করেছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সিংহাসনে বসার পর রাশিয়ায় এটাই তার প্রথম সফর। সফরকালে ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন সৌদি বাদশাহ। এসব বৈঠকে জ্বালানি তেলের উৎপাদন ও রফতানি এবং ইরান ও সিরিয়া ইস্যুতে দুই দেশের মতপার্থক্য নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ইরান ও সিরিয়া নিয়ে ব্যাপক মতপার্থক্য থাকলেও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য পড়ে যাওয়া রোধে পরস্পরের আরও কাছাকাছি আসতে শুরু করে সৌদি আরব ও রাশিয়া। এর ফলশ্রুতিতে কয়েক দশকের বরফ গলে দুই দেশের সম্পর্কেরও দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। বাদশাহ সালমানের এ সফর তারই প্রমাণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাদশাহ সালমানের এই সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কূটনৈতিক পরিভাষায় এ শব্দটি প্রায়ই ব্যবহৃত হলেও দৃশ্যত এই সফর রিয়াদের জন্য আসলেই ঐতিহাসিক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

সফরে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন সৌদি বাদশাহ। সফরে দুই দেশের  মধ্যে বেশ কয়েকটি বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। জ্বালানি খাতে ১০০ কোটি ডলারের একটি বিনিয়োগ চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে। তরল প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকল্প এবং পেট্রো কেমিক্যাল প্ল্যান্টসহ আরও বিভিন্ন খাতে দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ চুক্তি হতে পারে।

বিশ্বের অপরিশোধিত তেলের প্রায় অর্ধেকই উৎপাদন করে সৌদি আরব ও রাশিয়া। ফলে তেলের বাজারেও দুই দেশের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। সিরিয়া ইস্যুতে রয়েছে তীব্র মতপার্থক্য। সৌদি আরব যেখানে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরোধীতায় সোচ্চার; সেখানে আসাদের প্রধান সহযোগী রাশিয়া। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আসাদ সরকারকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে রাশিয়া। তবে দৃশ্যমান বহু মতপার্থক্যের মধ্যেও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য পড়ে যাওয়া দুই দেশের জন্যই দুঃসংবাদ। আর এটা ঠেকাতে দুই দেশের কাছাকাছি আসা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এই সফরে আমাদের আশাবাদের প্রধান দিকটি হচ্ছে, এটা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে একটি নতুন ও শক্তিশালী মাত্রা যুক্ত করবে।