ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়কের জন্মদিন, মন্ত্রী-নেতাদের শুভেচ্ছা

প্রকাশিতঃ 7:49 pm | July 27, 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :

২০০৮ সালের নির্বাচনে দিনবদলের সনদ বা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান তুলে শেখ হাসিনা যখন ব্যালট বিপ্লবে অভিষিক্ত হয়ে ক্ষমতায় এলেন তখন অনেকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে ভ্রূ কুচকেছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা দেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব ঘটাতে সফল হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ৫১ বছর আগের অমলিন স্মৃতি, জন্মের পর জয়কে দেখেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এক্ষেত্রে তার পুত্র হার্ভার্ড পাস তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয় উপদেষ্টা হিসেবে মায়ের পাশে থেকে প্রযুক্তি বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বলা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর সফল বাস্তবায়নের রূপকার তাঁরই সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়।

তাদের কর্মপ্রচেষ্টাতেই সচিবালয় থেকে ইউনিয়ন পরিষদ এমনকী গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি স্কুলেও এখন পৌঁছে গেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া।

আরও পড়ুন: আপন আলোয় উদ্ভাসিত প্রযুক্তি বিপ্লবের অগ্রনায়ক

দেশের গ্রাহককে সুরক্ষা দিতে প্রথমবারের মতো বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ দিয়ে) পদ্ধতিতে মোবাইলফোনের সিম নিবন্ধন চালুর উদ্যোগও ছিল সজীব ওয়াজেদ জয়ের। মেধাবী গরিব শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে ল্যাপটপ তুলে দেওয়ার কার্যক্রমও তিনিই শুরু করেছেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের চোখে সজীব ওয়াজেদ জয় একজন নির্মোহ, নিবেদিত প্রাণ, দেশপ্রেমিক এবং স্বপ্নবান বিজ্ঞানী। যাকে নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত গর্ববোধ করি, আর আইসিটি খাতের এ পরিবর্তনের নীরব স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির বদলে যাওয়া হাওয়া যে জাতি ধরতে পেরেছে তারাই এগিয়েছে টেকসই উন্নয়নের গতিময় পথনকশা ধরে, আর এখানেই দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন ভবিষ্যত বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। যিনি ডিজিটাল বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘রোয়ারিং টাইগার’ হিসেবে।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মের পর কোন একদিন হাসপাতালেই তাকে দেখার বিরল এক সুযোগ হয়েছিল আজকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আবদুল মোমেনের। ওই সময় পাকিস্তানি সেনাদের হামলায় আহত হয়ে তাঁর বাবা অ্যাডভোকেট আবু আহমদ আবদুল হাফিজ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ওই সময় ড.মোমেনের বোন ডা. শাহলা খাতুন মা শেখ হাসিনা ও নবজাতক জয়কে চিকিৎসা সেবা ও দেখভাল করতেন। সেদিনের নবজাতক জয় আজকে দেশের আইসিটি বিপ্লবের পুরোধা, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। যোগ্য নেতার যোগ্য সন্তান।

জন্মদিনে জয়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কালের আলোকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ গড়ার পথে একটি অন্যতম পাথেয় তথ্যপ্রযুক্তি। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বলিষ্ঠ ও দৃঢ় নেতৃত্বে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে।’

সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক কালের আলোকে বলেন, ‘সজীব ওয়াজেদ জয় একজন ভিশনারি লিডার। আমরা সব সময়ই বলি ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর সফল বাস্তবায়নের রূপকার তাঁরই জ্যেষ্ঠ সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়।

তথ্যপ্রযুক্তিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এটা কেবলমাত্র সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই। তার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় রাত-দিন এজন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর কিছুদিনের মধ্যেই আমরা মোবাইল ফোনে ফাইভ জি ব্যবহার করবো। আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, দেশের সফল আইটি উদ্যোক্তা সজীব ওয়াজেদ জয় দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের মতামত, নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা; এই দুইয়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন তড়িৎ উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন।’

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের পথিকৃৎ বলেই মনে করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে শ্রম নির্ভর অর্থনীতি থেকে প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পূর্ণাঙ্গ-স্বয়ংসম্পূর্ণ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল লেনদেন নগদের বদলে ডিজিটাল মাধ্যমে করা এবং সকল সরকারি সেবা অনলাইনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়ে এখন কাজ চলছে।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের লব্ধ জ্ঞান বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে বিলিয়ে দিচ্ছেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আমাদের আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জাতির সামনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার একটি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।

নেপথ্যে থেকে প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচির সব কাজ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ আমরা করোনাকালে যেভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সব ধরনের কাজ করতে পারছি, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে জীবনযাপন করছি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কারণেই সেটি সম্ভব হয়েছে।

পেছন থেকে কিন্তু এই ডিজিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণের সবকিছু করেছেন একজন সজীব ওয়াজেদ জয়। নীতিমালা প্রণয়ন থেকে শুরু করে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে অগ্রণী রাষ্ট্রগুলোর উদাহরণ দেখে বাংলাদেশের করণীয় নির্ধারণ এর সবকিছুই করেছেন তিনি।’

‘সজীব ওয়াজেদ জয় আজ শুধু আওয়ামী লীগ নয়, এই সংগঠনের বাইরেও বিপুলসংখ্যক উদ্যোমী তরুণ, উদ্যোক্তা, শিক্ষিত তরুণ সমাজ সবার কাছে অত্যন্ত প্রিয় একজন ব্যক্তি। তিনি সময় পেলেই বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সিআরআইয়ের সহযোগিতায় তরুণদের সঙ্গে কথা বলেন। তরুণরা কী ভাবছে, তরুণরা কী স্বপ্ন দেখছে দেশ নিয়ে এসব তিনি সবসময় জানতে চান এবং সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন’ যোগ করেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

কালের আলো/এমএএএমকে