৫ আগস্টের আগে কারখানায় যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 10:22 am | July 31, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

ঈদুল আজহার আগে-পরে আট দিন শিথিল রাখার পর সরকার আবার ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করেছিল, কিন্তু এই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আট দিনের মাথায় গতকাল শুক্রবার রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার। সরকারি ছুটির দিনেই এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কঠোর বিধি-নিষেধ শেষ হবে আগামী ৫ আগস্ট।

দেশের তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা ঈদের ছুটির আগেই আশা করেছিলেন সরকার এই খাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে আগামী ১ আগস্ট থেকে কারখানা খোলার সুযোগ দেবে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল যে এই তারিখে কারখানা খোলা হতে পারে, তাঁরা যেন সেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন। এই বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি মো. ফারুক হাসান চিঠিও দেন সদস্য কারখানাগুলোকে। অবশেষে তাঁদের সেই আশা পূরণ হলো।

তবে হঠাৎ সরকারের এই সিদ্ধান্তে ঈদের সময় ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া শ্রমিকদের আবার ঢাকামুখী ঢল নামার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ আজ শনিবার এক দিনের মধ্যে তাঁদের ঢাকায় আসতে হবে। পরিবহন বন্ধ থাকায় তাঁরা কিভাবে আসবেন, সেই নির্দেশনা নেই।

তবে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলছেন, শ্রমিকদের মধ্যে যাঁরা ঈদের পরের দিন এবং এই কয়েক দিনে বিচ্ছিন্নভাবে ঢাকায় এসেছেন বা এরই মধ্যে কারখানার আশপাশে রয়েছেন, শুধু তাঁদের নিয়েই কারখানা চালু করবেন গার্মেন্ট মালিকরা। আর যাঁরা বাড়িতে অবস্থান করছেন তাঁরা ৫ আগস্টের পর গাড়ি চলাচল শুরু হলে ঢাকায় আসবেন।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান-একাত্তর জার্নালে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে যুক্ত অতিথিদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পোশাক কারখানার মালিকদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন, শুধু ঢাকায় অবস্থানরত শ্রমিকরা কারখানায় যোগদান করবে। ঢাকার বাইরে থেকে কেউ আসবে না। কোনও গণপরিবহন চলবে না। ঢাকার বাইরের শ্রমিকরা যে যেখানে আছে সে সেখানেই থাকবে। ৫ আগস্টের পর শ্রমিকরা পর্যায়ক্রমে কারাখানায় আসবে এবং কাজে যোগ দেবে। কারো চাকরি হারানোর ভয় নেই।’

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে কেন কারখানা খুলে দেওয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‌‘আমাদের ‌অর্থনীতির কথাও ভাবতে হবে। রফতানিমুখী শিল্পের মধ্যে গার্মেন্টস অন্যতম। ৪০ থেকে ৫০ লাখ শ্রমিক এ খাতে কাজ করে। বাইরে থেকে অর্ডার নিতে হয়। অর্ডার বন্ধ হয়ে গেলে শিল্প ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। অসংখ্য মানুষ কাজ হারাবে। অর্থনীতিতে এর একটা প্রভাব পড়বে।’

তিনি বলেন, ‘‌আমরা সবসময় চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।’

কালের আলো/এসবি/এমএম