জবাব দিতে ৬ মাস সময় চায় ইভ্যালি

প্রকাশিতঃ 10:51 pm | August 02, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার জবাব দিতে ৬ মাস সময় চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল।

রোববার (০১ আগস্ট) ইভ্যালির পক্ষ থেকে একটি চিঠি দিয়ে এ সময় চাওয়া হয়েছে। ঈদের আগে গত ১৯ জুলাই ইভ্যালিকে দেওয়া এ নোটিশের জবাব দেওয়ার শেষ সময় ছিল গতকাল।

ইভ্যালির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে বিষয়গুলো জানতে চাওয়া হয়েছে, তার জন্য আমরা ছয় মাস সময় চেয়েছি। সময় কেন চাওয়া হয়েছে, আবেদনে তা বলা হয়েছে।

ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার চিঠিতে বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তের ক্ষেত্রে সময় স্বল্পতার কারণে সব তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত চিত্র ওই তদন্তে উঠে আসেনি।

এখন তিনি একটি নিরপেক্ষ নিরীক্ষকের মাধ্যমে কোম্পানির আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত ও ভ্যালুয়েশন করে উপস্থাপন করতে চান। এজন্য ৬ মাস সময় প্রয়োজন। ওই আর্থিক বিবরণীতে কোম্পানির মোট সম্পদ, দেনার পরিমানসহ যাবতীয় তথ্য থাকবে।

রাসেল জানান, এ সময়ের মধ্যে ইভ্যালি আগে প্রতিশ্রুতি দেওয়া পণ্যের সরবরাহ শেষ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে এবং প্রতি ১৫ দিন অন্তর সরবরাহের অগ্রগতি সম্পর্কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানাবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে মোহাম্মদ রাসেল জানিয়েছেন, তাদের ৫ হাজার মার্চেন্ট রয়েছে। বিপুল সংখ্যক মার্চেন্টদের কাছে দেনা তথ্য দেওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ প্রতিটি মার্চেন্টের অর্ডারের বিপরীতে সরবরাহ, গ্রাহক পেয়েছে কিনা, ত্রুটিপূর্ন পণ্য আছে কিনা এবং আগের বিলের সমন্বয় হয়েছে কিনা এসব হিসাব করা সময়সাপেক্ষ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে তার কোম্পানি এক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ চুক্তি করেছে। নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে ইভ্যালির যে ঘাটতি আছে, তা দূর হবে।

এ বিষয়ে ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল বলেন, অনেক তথ্য-উপাত্ত গোছাতে হবে। তাই মন্ত্রণালয়ের কাছে আমরা ছয় মাস সময় চেয়েছি। কিছু প্রশ্নের জবাবও দিয়েছি।’ নোটিশ পাওয়ার দিন মোহাম্মদ রাসেল প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘সব প্রশ্নেরই সন্তোষজনক জবাব আমাদের রয়েছে। কারণ, সব স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার আওতায় হয়েছে।

এর আগে গত ১৯ জুলাই ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের কাছে ছয় প্রশ্নের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ১ আগস্টের মধ্যে এসব প্রশ্নের জবাব দিতে বলা হয়।

প্রথমেই জানতে চাওয়া হয়, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক ও মার্চেন্টদের নিকট মোট ৪০৭ কোটি টাকা দায়ের বিপরীতে ইভ্যালির কাছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা চলতি সম্পদ থাকার কারণ। বাকি টাকা ইভ্যালির কাছে আছে কি না। থাকলে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে, না থাকলে দিতে হবে পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা।

চল‌তি বছ‌রের ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রাহকের কাছে মোট দায়ের পরিমাণ কত, গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া অর্থের বিনিময়ে যে পণ্য দেওয়ার কথা, সেগুলোর বর্তমান অবস্থা কী এবং এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও জানতে চায় মন্ত্রণালয়।

ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা এবং ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন কোনো ব্যবসা পদ্ধতি বা কার্যক্রম ইভ্যালিতে এখনও আছে কি না, থাকলে সেটি কী—এসব বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা চাওয়া হয় ইভ্যালির কাছে।

কালের আলো/এসকে/বিএমএম