‘না. গঞ্জের ঘটনায় অস্ত্র প্রদর্শনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে’

প্রকাশিতঃ 4:13 pm | January 18, 2018

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জে ফুটপাত দখলমুক্ত করাকে কেন্দ্র করে দলীয় মেয়র ও সংসদ সদস্যের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় অস্ত্র প্রদর্শনকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ‘কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র ৫০ শয্যা হতে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নারায়ণগঞ্জের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় যা যা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, আমরা তা করছি। সেদিন যারা অস্ত্র দেখিয়েছে, যারা নিজের হাতে আইন তুলে নিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে।”

কেউ আইনের ঊর্দ্ধে নয় মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “কাউকে ছাড় দেবো না। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ শহরে ফুটপাতে হকার বসানো ও উচ্ছেদ নিয়ে মেয়র আইভী ও এমপি শামীম ওসমানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে মেয়র আইভী নারায়ণগঞ্জ নগর ভবন থেকে বের হয়ে নগরীর বঙ্গবন্ধু রোডের ফুটপাত দিকে হাঁটতে শুরু করেন। এ সময় তার সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বেশ কিছু সমর্থক ছিলেন। পুলিশও তাদের সঙ্গে থাকে। একপর্যায়ে আইভীর সমর্থকরা ফুটপাতে হকারদের বসতে নিষেধ করলে প্রথমে হকাররা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তখন হকারদের সঙ্গে আইভীর সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। চাষাঢ়া এলাকায় শামীম ওসমানের সমর্থকরা হকারদের সঙ্গে যোগ দেয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে হকার ও শামীম ওসমান সমর্থকদের হামলার মুখে মেয়র আইভী বঙ্গবন্ধু সড়কে অনড় অবস্থান করেন। এ সময় তারা মেয়র আইভীর ওপর হামলা চালালে সমর্থকরা মানবদেয়াল তৈরি করে তাকে ঢেকে রাখেন। এ সময় তাদের ছোড়া ঢিলে মেয়র আইভী আহত হন।

পরে হকারদের সমর্থনে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান রাজপথে নেমে আসেন। তিনি হকারদের পক্ষ নিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থান করেন। এ সময় আহত আইভী নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে অবস্থান নেন। পুলিশ প্রায় ৩০০ ফাঁকা গুলি ও বেশ কিছু কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।