আইভী শঙ্কামুক্ত, বিশ্রামে থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ

প্রকাশিতঃ 10:40 pm | January 18, 2018

কালের আলো রিপোর্ট: হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। এর আগে আইভীকে ডা. বরেন চক্রবর্তীর অধীনে আইভীকে লাবএইড হাসপাতালে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) ভর্তি করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এফ.এম এহতেশামুল হক এ তথ্য জানান। এহতেশাম জানান, তিনি (আইভী) এখন শঙ্কামুক্ত, তবে রেস্টে থাকতে হবে। ডাক্তাররা বলেছেন, রেস্টে থাকাই এখন বড়।

আইভীর কী সমস্যা হয়েছিল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ইসিজি রিপোর্ট ভালো, সমস্যা নেই। তবে সিটি স্ক্যান রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। ডাক্তাররা এখন পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। সব রিপোর্ট পাওয়ার আগে কিছু বলছেন না।”

বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ল্যাবএইডে ভর্তি করার পর হাসপাতালটির জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান লেলিন বলেন, “কার্ডিওলজিস্ট বরেন চক্রবর্তীর দায়িত্বে সিসিইউতে (কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট) ভর্তি করার পর সিটি স্ক্যানসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য অধ্যাপক আবদুস জাহেদসহ পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়েছে।”

এর আগে মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী আবুল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার কিছু আগে মেয়র নগরভবনে কার্যালয়ে আসেন।

তিনি জানান, কার্যালয়ে আসার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন আইভী। কথা বলতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে তিনি বমি করেন। চিকিৎসক ডাকা হয়। পরে তাকে পরীক্ষা তার রক্তচাপ অনেক কমে গেছে বলে জানান চিকিৎসক।

এরপর মেয়র আইভী নড়াচড়া ও কথাবার্তা বলতে না পারায় সদর হাসপাতাল থেকে আরও চিকিৎসক আনা হয়। তারা সবাই পরীক্ষা করে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।

পরে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালের উদ্দেশে পাঠানো হয় বলে জানান মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী আবুল হোসেন।

সিটি করপোরেশনের হকার উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে মঙ্গলবার সংঘর্ষের পর আইভী-শামীম দুজনকেই ঢাকায় তলব করার কথা জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মেয়র আইভী। তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানো হয়।

মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী আবুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। এ সময় তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। কথা বলতে পারছিলেন না। পরে বমি করা শুরু করেন। নগর ভবনের মেডিকেল অফিসার গোলাম মোস্তফা তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্যালাইন পুশ করেন। চিকিৎসক বলেছেন মেয়রের রক্তচাপ কমে গেছে। এই অবস্থায় তাকে ল্যাবএইডে পাঠানো হয়।”