তবুও কেন জামিন নেননি সাবেক এমপি শাহীন?
প্রকাশিতঃ 6:28 pm | October 11, 2018
পলিটিক্যাল করেসপন্ডেন্ট, কালের আলো :
বিস্ফোরক মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন ২০ জন। এর মধ্যে ১৭ জনই হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য শাহ নুরুল কবির শাহীন, তাঁর ছোট ভাই মোফাজ্জল হোসেন টিপু ও নিজের অনুসারী হিসেবে পরিচিত উপজেলা ছাত্রদল নেতা আমিনুল ইসলাম।
কেন জামিন নেননি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শাহ নুরুল কবির শাহীন ও তাঁর লোকজন, এই প্রশ্নের উত্তর দেন নিজ দলীয় উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ভূইয়া মনি। ওই বিস্ফোরক মামলার তিনিও এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন।
কালের আলোকে মনি বলেন, ‘শাহীন সাহেব সবকিছুতেই গ্রুপিং করেন। আমাদের সঙ্গে এসে তিনি ও তাঁর দুই অনুসারী জামিন নেননি। এর আগেও একটি মামলার চার্জশিট থেকে শাহীন নিজের নাম কাটিয়েছেন।
তিনি প্রকাশ্যেই ঘুরাফেরা করলেও পুলিশ তাকে ধরতো না। গ্রেফতার হওয়ার দিনও দুপুরে স্থানীয় মালেক মেম্বারের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেয়েছেন তিনি। অথচ ওয়ারেন্ট না থাকলেও আমরা বাড়িঘরে থাকতে পারি না। আর তিনি বাড়িতেই ঘুমাতেন।’
কথা হচ্ছিল উপজেলা বিএনপি’র এই নেতার সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির আরেক নেতা সাবেক সংসদ সদস্যকে ইঙ্গিত করে কালের আলোকে বলেন, ‘একেই বলে রাজনীতির ভেতর পলিটিক্স। মনোনয়ন রাজনীতিতে দলীয় প্রতিপক্ষকে ‘কাবু’ করতে তাঁর এই ফর্মুলা আবার বুমেরাং না হলেই হয়।’
দলটির নেতা-কর্মীরা জানান, দীর্ঘদিন যাবত উপজেলা বিএনপি’র রাজনীতিতে দলীয় সভাপতি প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু’র কাছে কোণঠাসা ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য শাহ নুরুল কবির শাহীন। দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ০৮ ফেব্রুয়ারির রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন মাজেদ বাবু। পরবর্তীতে ওই মামলায় তিনি এক নম্বর ও শাহীন দুই নম্বর আসামি হন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজীব ঘোষ কালের আলোকে জানান, এই মামলার এজাহারনামীয় ২০ আসামির মধ্যে ১৭ জনই চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে উচ্চ ও নিম্ন আদালতে জামিনে রয়েছেন।
শুধু সাবেক এমপি শাহীন ও তাঁর গ্রুপের দুই নেতার জামিনের কাগজপত্র আমারা পাইনি। ফলে শাহীনকে রোববার (০৭ অক্টোবর) দিনগত রাত দুইটার দিকে নিজ বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য দুই আসামিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তবে দলের দু:সময়ে সব নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু কালের আলোকে বলেন, ‘একটি মিথ্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য শাহ নুরুল কবির শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে তাঁর শর্তহীন মুক্তি দাবি করছি।’
কালের আলো/ওএইচ/এমএ