বঙ্গবন্ধুর ‘অধরা’ পাঁচ খুনি কোথায়?
প্রকাশিতঃ 7:09 pm | August 14, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো :
মহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ খুনি এখনও অধরা। এর মধ্যে মেজর (বরখাস্ত) আবু মোহাম্মদ রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে ও মেজর (বরখাস্ত) এসএইচএমবি নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছেন। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকরের জন্য কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাঙালির স্বপ্নপুরুষকে নৃশংসতম হত্যার অশ্রুঝরা দিন
বাদ বাকী পলাতক তিন খুনী মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশিদ, ও রিসালদার (বরখাস্ত) মোসলেম উদ্দিন পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়েছেন। এই খুনি চক্রকে পাকিস্তান সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই সব রকমের সহায়তা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
কোন দেশে এই তিন খুনি আত্মগোপন করেছেন সেটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনীতিকদের। এমনকি বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের সাহায্য-সহযোগিতা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুনঃ নির্মম হত্যাকারীরা অপরিচিত ‘কেউ’ ছিল না
বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে, বঙ্গবন্ধুর খুনি ডালিম কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অবস্থান করছেন। রশিদ ও মোসলেম উদ্দিন আছে লিবিয়ার বেনগাজিতে। গাদ্দাফি জীবিত থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর এই খুনিদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। এরা দুজন পাকিস্তান-বেনগাজি নিয়মিত আসা-যাওয়া করে এমন দাবিও সূত্রের।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন বাঙালি জাতির চির আরাধ্য পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরে খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয় পরবর্তী সরকার। এমনকি খুনিদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরিও দেয়া হয়। সামরিক সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে খুনিরা রাজনৈতিক দল গঠন করে অনেক অপকর্ম করে।
কোনো কোনো খুনি এমপিও হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে করা ইমডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় খুনিদের বিচার প্রক্রিয়া। দীর্ঘ আইনি-প্রক্রিয়া শেষে ২০১০ সালে ১২ খুনির মধ্যে ছয় খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এসব খুনিরা হলেন- কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমদ, মেজর (অব.) একে বজলুল হুদা এবং মেজর (অব.) একেএম মহিউদ্দিন (আর্টিলারি)। গত বছরের ১১ এপ্রিল রাতে বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
এর আগে ভারত থেকে মাজেদকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বাকি ছয়জনের মধ্যে আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন। এখনও বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছেন পাঁচ খুনি।
কালের আলো/আরআই/এমকে