নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো :

বাঙালি জাতির শোকের দিন। ইতিহাসের ভয়ঙ্কর এক কালো দিন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট। ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল সেদিন। শোকে স্তব্ধ ছিল গোটা বিশ্ব। কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছিল বাঙালি জাতি। নির্বাক, বুকভরা হাহাকার পিতা হারানোর সেই শোক ৪৬ বছর ধরে বয়ে বেড়াচ্ছে বাঙালি জাতি।

আরও পড়ুন: বাঙালির স্বপ্নপুরুষকে নৃশংসতম হত্যার অশ্রুঝরা দিন

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর কী বলেছিলেন বিশ্বনেতারা? ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল কাস্ত্রো, ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতসহ বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুকে হারানোর শোক অনুভব করেছিলেন। তাদের বক্তব্য কালের আলো’র পাঠকদের জন্য উপস্থাপন করা হলো।

আরও পড়ুন: মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ মুজিব : শোক অনির্বাণ আবেগমথিত উচ্চারণ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন- ‘শেখ মুজিব নিহত হবার খবরে আমি মর্মাহত। তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন। তার অনন্যসাধারণ সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকার জনগণের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল।’

কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন- ‘শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারালো তাদের একজন মহান নেতাকে, আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে।’

আরও পড়ুন: শেখ রাসেল : কুড়িতেই শেষ হয়ে যাওয়া একটি ফুল

ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন বলেছিলেন- ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রথম শহীদ। তাই তিনি অমর।’

ইংলিশ এম পি জেমসলামন্ড বলেছিলেন- ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে বাংলাদেশই শুধু এতিম হয়নি বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহান সন্তানকে।’

আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর শেষ শয্যার সঙ্গীরা

ভিয়েতনামের কেনেথা কাউণ্ডা বলেছিলেন- ‘শেখ মুজিবুর রহমান ভিয়েতনামী জনগনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।’

পশ্চিম জার্মানী পত্রিকায় লেখা হয়েছিল- ‘শেখ মুজিবকে চতুর্দশ লুইয়ের সাথে তুলনা করা যায়। জনগন তার কাছে এত প্রিয় ছিল যে লুইয়ের মত তিনি এ দাবী করতে পারেন আমিই রাষ্ট্র।’

আরও পড়ুন: মাত্র ১৫ মিনিটে দাফন হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর লাশ!

আমেরিকান কূটনীতিবিদ হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন- ‘আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের মত তেজী এবং গতিশীল নেতা আগামী বিশ বছরের মধ্যে এশিয়া মহাদেশে আর পাওয়া যাবে না।’

কালের আলো/এসআর/এমএইচ